ভিডিও শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ রাত

রাজশাহীতে কোটি টাকার পাতকুয়ায় মেলে না পানি

রাজশাহীতে কোটি টাকার পাতকুয়ায় মেলে না পানি

রাজশাহী প্রতিনিধি: প্রান্তিক কৃষকদের সেচ সুবিধায় রাজশাহীর পবা, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছিল ২০টি সৌরচালিত পাতকুয়া। ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এসব পাতকুয়ার কোনো সুফলই পাচ্ছেন না কৃষকরা। উল্টো অতিরিক্ত টাকা খরচ করে সেচের পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাদের।

রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজশাহীর ৪টি উপজেলায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে সৌর বিদ্যুৎচালিত ২০টি পাতকুয়া নির্মাণ হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। চারঘাট উপজেলায় ৫টি, পবায় ১১টি, পুঠিয়ায় ২টি ও বাঘায় ২টি পাতকুয়া স্থাপন করা হয়। প্রতিটি পাতকুয়ায় খরচ হয়েছে ১৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে সাড়ে ৫ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব বলে জানায় বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

বিএমডিএ’র দাবি, প্রতি ঘণ্টায় পাতকুয়ার পানির দাম ৫ টাকা নির্ধারণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় খরচ ধরে সমিতির সদস্যদের মতামত নিয়ে ৫০-১০০ টাকা করা হয়েছে। এটি ভূ-উপরিস্থ পানির সংরক্ষণ, সেচ কাজে ব্যবহার ও পানির স্তর পুনরায় পূরণে সহায়ক। সেচের আওতায় এসেছে ১ হাজার ৪৫৭ হেক্টর জমি।

চারঘাটের নিমপাড়া ইউনিয়নের বাসুপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা ক্ষেতে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন। এসময় কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, দুইটা পাতকুয়া এনামুল হক ও তার ভাই হাসিব উদ্দীন দখলে রাখতে কৃষক কমিটি গঠন করেননি। ফলে শুষ্ক মৌসুমে টাকা খরচ করেও সেচ দিতে পারি না। এদিকে পাতকুয়া থেকে নিজের পুকুরে পানি দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এনামুল হক। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দুই ভাইকে পাতকুয়া দিয়েছে। বাড়ির আঙিনায় স্থাপন করেছি। পাতকুয়ার কৃষক কমিটি নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।

চারঘাটের পাইটখালি এলাকার পাতকুয়াটিও খেয়ালখুশিমতো পরিচালনা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম। স্থানীয় কৃষক লালন আলী বলেন, পাতকুয়ার আশপাশের কৃষকদের নিয়ে পরিচালনা সমিতি থাকার কথা। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সমিতি করেননি। উল্টো পানির জন্য ৬০০-৭০০ টাকা ঘণ্টা সেচ খরচ নিচ্ছেন। তবে আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাতকুয়ার পানি খুব ধীরে যায়। তাই বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম নেওয়া হয়। পাতকুয়া পরিচালনায় কৃষক সমিতি কেন গঠন হয়নি জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, কৃষকের সেচ সুবিধায় পাতকুয়া স্থাপন হলেও অনেকে এ পানি পান না। বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখভাল করে। বিষয়টি তাদের জানানো হবে। বিএমডিও চারঘাট ও পুঠিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী হানিফ শিকদার বলেন, কৃষক কমিটি হয়েছে। কাগজপত্র দেখে বলা যাবে কারা কমিটিতে আছেন। কমিটি বা পানি বণ্টন নিয়ে কোনো কৃষক অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজশাহীতে কোটি টাকার পাতকুয়ায় মেলে না পানি

ভাতা প্রতিবন্ধী নারীর উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক

বগুড়া বার সমিতির নির্বাচন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সা: সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিজয়ী

নির্বাচন নিয়ে সংশয়, কি ভাবছে বিএনপি ও এনসিপি ?

আরাফাতের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ পুরো প্রতিষ্ঠান

বন্ধ থাকলেও খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ : ঘরের যে ৬ ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাড়িয়ে দিচ্ছে বিল!