বগুড়ার শাজাহানপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আমন ধান কাটার পরপরই জমি চাষ ও সার প্রয়োগে বীজআলু রোপণের জন্য জমি তৈরি করছেন চাষিরা। ফসলের মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে একদিকে কর্তন করা আমন ধান মাড়াই করে ঘরে তোলা।
অপরদিকে ফসল শূন্য জমিতে চাষ দিয়ে বীজআলু রোপণের উপযুক্ত করে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। কৃষকরা জানিয়েছেন, গত বছর আলুর অস্বাভাবিক দরপতনে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়লেও এবার ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা নিয়েই ফের আলু চাষে পা বাড়াচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, দরপতনের কারণে গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে আলুর চাষ কমবে। গত মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর।
উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের ঢেলগাড়ি গ্রামের আলুচাষি ইউসুফ আলী জানান, তিনি গত বছর ৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু দরপতনের কারণে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবুও ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশায় তিনি চলতি মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জমি চাষ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র টিএসপি সার চাহিদার তুলনায় অর্ধেক পরিমাণে মিলছে বলেও তিনি জানান।
আড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের আলুচাষি জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনিও গত বছর ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। আলুর ভরা মৌসুমে তিনি ১৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছিলেন। তাই আলু চাষে তার আর্থিক ক্ষতি না হলেও লাভও হয়নি। তিনি এবছর ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন জানান, গত বছর দরপতনের কারণে এবার আলু চাষ কিছুটা কমবে। তবে আলু চাষে সার এবং বীজ নিয়ে কোন সংকট নেই বলে তিনি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন







