জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্ভয়ে ভোট দিতে চান রংপুরের মানুষ
রংপুর প্রতিনিধি : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুরজুড়ে প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নির্বাচনি উৎসবের আমেজ। বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণায় থাকলেও বাকি দলগুলোর প্রার্থীদের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তবে চায়ের দোকান থেকে রাস্তার মোড়, বাজার থেকে কর্মক্ষেত্র সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচন। উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা একটি নির্বিঘ্ন, শান্তিপূর্ণ এবং ভয়ের ঊর্ধ্বে থেকে ভোট দেওয়ার সুযোগ।
গতকাল শনিবার রংপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী হলেও তাদের মূল চাওয়া নিরাপদ পরিবেশ। নগরীর ধাপ, শালবন, তাজহাট, লালকুঠী, পার্কমোড়, মেডিকেল মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতীতের কিছু উত্তেজনাকর অভিজ্ঞতার কারণে অনেকেই নির্বাচনকে ঘিরে কিছুটা শঙ্কা অনুভব করেন। কিন্তু এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন যদি শক্ত পদক্ষেপ নেয় তাহলেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানান তারা।
শালবন এলাকার গৃহবধূ সম্পা হোসেন বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা শুধু চাই সারাদিনের শান্তি নষ্ট না করে যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারি। নির্বাচন যেন উৎসবের হয়, ভয়ের না। লালকুঠী এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আমাদের ভোট যেন কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে এই আশা নিয়েই কেন্দ্র যেতে চাই।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, যে-ই জিতুক, সেটা জনগণের ভোটে জিতুক। কেউ যদি কেন্দ্র দখল করতে আসে বা ঝামেলা করে, তাহলে সাধারণ মানুষ আর ভোট দিতে চায় না। এবার এমনটা যেন না হয়। প্রবীণ ভোটাররা জানান, একসময় ভোট দিতে যেতে ভয় পেতেন। কিন্তু এবার তারা বিশ্বাস করেন যে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দিবেন আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
নির্বাচন বিশ্লেষক তোহা জুবায়েদ জানান, বর্তমান সময়ে ভোটারদের রাজনৈতিক সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন ও সরাসরি রাজনৈতিক প্রচারণার মাধ্যমে মানুষ এখন নিজেদের অধিকার সম্পর্কে বেশি জানেন। তাদের প্রত্যাশা নির্বাচন যেন এমন হয় যেখানে ভোট দিতে গিয়ে কারও ওপর কোনো চাপ, ভয়ভীতি বা প্রভাব কাজ না করে।
মন্তব্য করুন








