ভিডিও মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

রংপুরের তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনটি ঘরের টিন ও ইট খুলে বিক্রি

রংপুরের তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনটি ঘরের টিন ও ইট খুলে বিক্রি। প্রতীকী ছবি

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ফরিদাবাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পের তিনটি ঘরের ইট, লোহার এ্যাঙ্গেলসহ টিন বিক্রির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মজু মিয়া ও তার মা মজিতনের নামে ফরিদাবাদ আশ্রয়ণে দুইটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।

মা ও ছেলের নামে ঘরগুলো বরাদ্দ নিয়েও তারা সেখানে বসবাস না করে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর রাতের আঁধারে তার ও তার মায়ের ঘরের ইট, টিন, এ্যাঙ্গেল ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। শুধু মজু মিয়া নন একই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘরসহ সব কিছুই বিক্রি করে দিয়েছেন একই গ্রামের বিট্রিশ আলী নামের একজন।

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদাবাদ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মুজিববর্ষে পর্যায়ক্রমে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৩০টি দুই রুম বিশিষ্ট পাকাঘর, রান্নাঘর, ল্যাট্রিন দেয়া হয়। ১৩০টি হতদরিদ্র পরিবার সেখানে বসবাস করার কথা থাকলেও বর্তমানে ৪৭টি পরিবারকে বরাদ্দের ঘরে বসবাস করতে দেখা গেছে। বাকি ৮৩টি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘরের ইট, টিন খুলে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি ৮০টি ঘরের নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২৫ থেকে ৩০টি ঘর বিক্রি করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি পরিবার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।

আরও পড়ুন

অভিযোগ পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ নিয়ে সাহেবা বেগম নামের একজন স্থানীয় আলম মিয়ার কাছে মাসে এক হাজার টাকা নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। আলম মিয়ার স্ত্রী রেহেনা জানান, বাড়িতে শাশুড়ির সাথে ঝগড়ার কারণে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভাড়া নিয়ে আছি। একই অবস্থা দেখো যায় হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের উজিয়াল আশ্রয়ণ প্রকল্পে। উজিয়ালে ৩৫টি টিনশেড ঘর বরাদ্দ দেয়া হলেও সেখানে ১৭টি পরিবার বসবাস করছেন।

বাকিগুলোতে তালা মেরে রাখা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ২২টি পাকাঘর বরাদ্দ থ্কালেও ৭টি পরিবার বসবাস করছে। বাকিগুলোতে তালা মেরে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, শুনেছি ফরিদাবাদ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে তিনটি ঘরের সবকিছুই খুলে বিক্রি করা হয়েছে। এনিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা নাকি মাদকাসক্ত ছিল। অতি শিগগিরই যারা ঘর বরাদ্দ নিয়ে ঘরে থাকেন না তাদের তালিকা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ঘোড়াঘাটের ঐতিহাসিক স্থাপত্য

পাবনার চাটমোহরে বিএনপি’র প্রার্থী মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ

আমনের ফলন আশানুরূপ নভেম্বরে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু : খাদ্য উপদেষ্টা

বগুড়ায় ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে চোরাচালানকৃত ওয়াকিটকি সেট জব্দ

পাবনা-সুজানগর সড়কে যাত্রী ছাউনি দখল করে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য