ব্যয় ১৪ কোটি টাকা
ছয় বছরেও শেষ হয়নি দুপচাঁচিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজ
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। ১শ’ উপজেলায় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১৩ কোটি ৯২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮ টাকা দরপত্র মূল্যে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার শাহীন আহম্মেদ তাজওয়ার ট্রেড সিস্টেম লিমিটেড (জেভি) ঠিকাদার নির্বাচিত হন। বিগত ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর একই বছরের শেষের দিকে নির্বাচিত ঠিকাদার কাজটি শুরু করেন।
উপজেলা সদরের মাসিন্দা গ্রামের প্রায় দেড় একর জায়গার ওপর পাঁচতলা একাডেমিক ভবন, চার তলা বিশিষ্ট ওয়ার্কসপ ভবনসহ আনুসাঙ্গিক কাজ যেমন বাউন্ডারি ওয়াল, গেট, অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য ১৮ মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
নির্বাচিত ঠিকাদারের গড়িমসির কারণে প্রায় ছয় বছর পার হলেও প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিগত বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও শ্রেণিকক্ষ ও প্রশাসনিক ভবনের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে প্রকল্পটির প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দামের ঊর্ধ্বগতি, কোভিড-১৯সহ বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় কাজ ফেলে রাখতে হয়। ফলে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে রাস্তা, গেট, বাউন্ডারি, রঙের ফিনিশিংসহ বৈদ্যুতিকের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নের সময় বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুনপ্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিহাব উদ্দীন জানান, আগামী নভেম্বরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি বিবেচনা করে প্রকল্পটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়েছেন। প্রকল্পটির অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা দৃশ্যমান।
বর্তমানে রাস্তা, গেটসহ টুকিটাকি কিছু কাজ বাকি রয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করে প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলেও জানান তিনি।
কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে তিনিসহ ১৩ জন শিক্ষক যোগদান করেছেন। বিগত শিক্ষা বছরে ভবনটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় স্বল্প পরিসরে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে ক্লাসের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আর কয়েকদিন পর আগামী নভেম্বর থেকে নতুন শিক্ষা বছরের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বর এর মধ্যেই ভবনের অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন










