এলজিইডি বগুড়ার সারিয়াকান্দি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের কর্মচারী রেজাউল হকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রেজাউল ইসলাম মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া এ অফিসের একজন কার্য সহকারী। এ বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর এলজিইডি রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার ২৭ জন ঠিকাদার। অভিযোগের অনুলিপি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসক ও বগুড়া নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রেজাউল হক প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর এই উপজেলায় মাস্টাররোলে কর্মরত আছেন। তিনি প্রকল্প কাজ তদারকির সময় একাধিক ঠিকাদারের কাছে থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এতে করে এলজিইডি অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অফিসের কাজের মানও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। রেজাউলের ঘুষের দাবি-দাওয়া নিয়মিত অব্যাহত থাকায় উপজেলার ঠিকাদারদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এর আগেও গত বছর এই কর্মচারীর নামে বগুড়া নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করা হয়েছিলো। কিন্তু তখন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রেজাউল হক আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ কারণে এবার তারা বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
মেসার্স আরেফা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার রুবেল আলম বলেন, যেকোন কাজ করলে তাকে টাকা দেওয়াই লাগবে। টাকা ছাড়া সে কোন কাজ বোঝেনা। টাকা পয়সা না দিকে থানা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে উল্টা-পাল্টা কথা বলে। টাকা দিলেই সব ঠিক আছে। টাকা দিতে না চাইলে ঠিকাদারের উপর বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুনতবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কার্যসহকারী রেজাউল হক বলেন, সিডিউল ও ইস্টিমেট মতো কাজ করতে গেলে ঠিকাদারের স্বার্থে আঘাত লাগে। তখনি ঠিকাদারেরা এরকম মিথ্যা অভিযোগ করে। আমার বিরুদ্ধে ঠিকাদাররা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাদের কোনও অভিযোগই সত্য না।
সারিয়াকান্দি উপজেলা এলজিউডির প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে ৫ তলায় তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের ইস্ট্যাবিলিসমেন্ট ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পের কাজ চলমান। সেখানে কলামের কাজ চলছে। সিড়ির একটি কলামে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রড ল্যাপিং না দিয়ে ওয়েল্ডিং করছিলো।
সেই কাজে বাধা দেওয়ার কারণে ঠিকাদার রেজাউলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগটি করেছে। আমরা উপজেলা এলজিডি থেকে উপজেলা পর্যায়ে চাচ্ছি কাজের গুনগত মান ঠিক রাখা। যখনি ঠিকাদারের স্বার্থে লাগে তখনি তারা এসব অভিযোগ করে।
মন্তব্য করুন