শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম স্বর্ণাক্ষরের লিখে যেতে চাই: আসিফ মাহমুদ
_original_1760783016.jpg)
শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম স্বর্ণাক্ষরের লিখে যেতে চান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, শাপলা চত্বরে শহীদদের স্বীকৃতি ও সামান্য উদ্যোগ নিতে পেরে আমরা গর্ব বোধ করছি। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের ৫ মে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের নাম শাপলা চত্বরে স্বর্ণাক্ষরের লিখে যেতে চাই।
তিনি বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের নাম সেখানকার স্থায়ী অবকাঠামোতে লিখে রাখা হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নানাভাবে এই উদ্যোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সালে যখন ৫ মে এই বর্বরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তখন আমার বয়স ১৫ হবে। ক্লাস নাইনে পড়তাম সম্ভবত। সেই সময়কার স্মৃতি এখনও আমার মনে আছে।
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ সেই হত্যাকাণ্ড স্বচক্ষে দেখেছেন, কিন্তু সেটাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি শহীদের পরিবারগুলো ভয় পেতো তাদের পরিচয় দিতে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়তে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশও যাতে তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সেই প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৭৭টি পরিবারকে ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা দেয়া হয় এই অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন