ভোগান্তিতে গ্রামবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বগুড়ার কাহালুতে এক বছর ৮ মাসেও শেষ হয়নি সড়কের কার্পেটিং কাজ

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : দীর্ঘ এক বছর ৮ মাস আগে শুরু হওয়া বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের কল্যাপাড়া গ্রামের সড়কের চলমান কার্পেটিং এর কাজটি মাঝ পথে এসে থেমে গেছে।
এলজিইডি’র আওতায় সড়কটির জন্য অর্থ বরাদ্দ সহ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার কাজ না করায় এখনও সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। কাপেটিং এর কাজ শুরুর আগে ইন্দুখর-ভালশুন পাকা সড়ক থেকে কল্যাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পুরো সড়কটি ইট সলিং রাস্তা ছিল।পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (জউজওউচ-ঊঝ) অর্থায়নে ৯৫ লাখ ৮১ হাজার ৮১৮ টাকা ব্যয়ে কল্যাপাড়া গ্রাম থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৯শ’ মিটার সড়ক কার্পেটিং করার কাজ হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা বুড়িগঞ্জের মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এরপর ২০২৪ সালের ফব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সড়কের কাপেটিং করার প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়। আর কাজটি শেষ হবার কথা ছিল একই বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাত। কাজ শুরুর প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার সড়কে বিছানো সব ইট তুলে খোয়া তৈরী করে।খোয়া ভাঙ্গার কাজ শেষ হবার সাথে সাথে সড়ক নির্মাণের কাজও থেমে যায়।আর সেই থেকেই চরম ভোগান্তীতে রয়েছে কল্যাপড়া গ্রামবাসী ও আশেপাশের গ্রামের মানুষ সহ গ্রামের পাশে অবস্থিত দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আরও জানা যায় মুল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ সড়কের কাজটি তারা নিজে না করে রাজিবুল নামের অন্য এক ঠিকাদের কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করেছে। কিন্তু সে ঠিকাদারও এখনও তার কাজ শুরু করেনি।
বর্তমানে কল্যাপাড়া গ্রামের মাঝে গোলাম রব্বানী ও আবু তাহের মাওলানা,রিজওয়ানমুন্সী,হেলাল ও আল আমিনের বাড়ির পাশে সড়কের উপর সব সময় পানি জমে থাকায় এ সড়ক দিয়ে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা।এর ফলে সেখানে এক চরম জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে এ সড়কটির মাধ্যমে কল্যাপাড়া গ্রামের মানুষ অতি সহজেই উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে বলে সড়কটি গ্রামবাসীর কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন এ কাজটি নিয়ে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তবে অচিরেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান। আপর দিকে ঠিকাদার রাজিবুলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা যায়নি।
আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন