বগুড়ার সোনাতলায় ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম মরিচ চাষে ঝুঁকছে কৃষক

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় কৃষক ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বিশেষ করে উঁচু জমিতে আগেভাগেই এ ফসল বপণ করে সেই ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৯ হাজার ২০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ২ হাজার ৭৪০ হেক্টর বেশি। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকেরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগেভাগেই মরিচের চাষ করে সেই জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খাটিয়ামারী চরের বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর বন্যার ধকল কাটাতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকেরা আগেভাগেই মরিচের জীব বপণের প্রস্তুতি শুরু করেন। এই ফসল উৎপাদনে প্রতি কৃষকের দৃষ্টি বেশিই থাকে।
জন্তিয়ার পাড়া চরের বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, গত বছর তিনি ৯ বিঘা জমিতে আগাম মরিচ চাষ করে প্রায় ৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। এবারও তিনি একই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, এ উপজেলার কৃষকেরা এবার ছনিক, বিজলী, কারেন্ট, হাইব্রিডসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আগাম মরিচ চাষ করেছেন। সাধারণত বন্যার পরপরই নদীকূলীয় এলাকার কৃষকেরা চারা উৎপাদন করে মরিচ গাছ রোপণ করেন। গাছ রোপণের ৭৫-৯০ দিনের মধ্যে ফুল ও ফলন আসে। আগাম মরিচ রোপণের ফলে ফসলও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তোলা সম্ভব হয়।
মন্তব্য করুন