ভিডিও শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ। এক সময়ের ধানভিত্তিক কৃষি এখন ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে পুষ্টিকর পশুখাদ্য উৎপাদনের কেন্দ্রে। কম খরচে বেশি লাভ, বারবার ঘাস কাটার সুযোগ এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা সব মিলিয়ে এই ঘাস এখন কৃষকের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেপিয়ার ঘাসকে 'পাকচং-১' নামেও ডাকা হয়, এটি উন্নত জাতের ঘাস যা মূলত গবাদিপশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ঘাস বছরে ৭ থেকে ৮ বার পর্যন্ত কাটা যায় এবং প্রতিবারই ঘাসের গুণগত মান বজায় থাকে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন ও খনিজ উপাদান, যা গবাদিপশুর দুধ উৎপাদন ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শ্যামপুর, চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর, খোদাদাতপুর কলোনি, খোদাতপুর, চাঁদপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, বলগাড়ী সহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠ অন্যান্য মৌসুমী কৃষি পণ্যের পাশাপাশি উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষে ভরপুর।

উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের খোদাদাতপুর কলোনির ঘাস চাষি হযরত আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগে ধান আর গম চাষ করতাম, কিন্তু খরচের পর লাভ খুব কম হতো। গত ১২ বছর থেকে প্রাণী সম্পদ ও কৃষি অফিসের পরামর্শে ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে নেপিয়ার ঘাস লাগাই।

এখন প্রতি বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘরে আসে শুধু ঘাস বিক্রি করেই। হজরত আলী এখন ঘাস বিক্রি করছেন স্থানীয় গবাদিপশু খামারিদের কাছে। ঘোড়াঘাটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো থেকেও খামারিরা ঘাস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ঘোড়াঘাটের প্রায় ৮৮ একর জমিতে উন্নত নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করতে প্রথম বছরে খরচ হয় আনুমানিক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। পরবর্তী বছরগুলোতে শুধুমাত্র পরিচর্যা খরচ লাগে। এক বিঘা জমি থেকে বছরে ৪০ থেকে ৫০ মণ ঘাস উৎপাদন সম্ভব।

বাজারে ঘাসের দাম বর্তমানে প্রতি মণ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘায় বছরে আয় হতে পারে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। শুকনো মৌসুমে ৪ বার ও বর্ষা মৌসুমে ২ থেকে ৩ বার পানি সেচ দিলেই এই ঘাস চাষ করা যায় বিধায় খরচ অন্য কৃষি পণ্যের তুলনায় অনেক কম।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুজ্জামান বলেন, নেপিয়ার ঘাস চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং বীজ সরবরাহ করে যাচ্ছি। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিস নেপিয়ার ঘাস চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ভিডিও বানানোর নামে হাত ধরছে, এটা কি ব্যবসা?’ | Agargaon Cake | Daily Karatoa

কিছু উপদেষ্টার থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকতে বললেন মিয়া গোলাম পরওয়ার | PR | Daily Karatoa

বাংলাদেশিদের সমাবেশে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র প্রার্থী মামদানি

বাংলাদেশ-বাহরাইন বৈঠক: শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আহ্বান

লিসবনে প্রবাসীদের উৎসব, দূর দেশে আপনজন

কেক পট্টিখ্যাত আগারগাঁওয়ে চলছে পুলিশের অভিযান । cake | Daily Karatoa