নওগাঁয় একদিনে শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় একদিনে শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার রানীনগর, সাপাহার, পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় এসব মরদেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রাম থেকে মেহেদী নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেহেদী পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে।
মেহেদীর দুলাভাই কামাল হোসেন জানান, কিছুদিন থেকে মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত বুধবার মেহেদীর স্ত্রী ঝগড়া লেগে বাবার বাড়িতে চলে যায়। মেহেদী রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে ঘুমিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সাপাহারে বাড়ি থেকে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর নুরুল ইসলাম নামে ৭৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার পিছলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে। নুরুলের পারিবার জানায়, গত বুধবার ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান নুরল ইসলাম। বেলা বাড়লেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এলাকাবাসী গ্রামের পাশের একটি খালে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে জেলার পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের কুসারপাড়া গ্রাম থেকে ৯ বছরে কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। পুলিশের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুনএছাড়াও জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এনজিওর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা গ্রামবাসীর। তবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানায়, মরদেহগুলো উদ্ধার করে নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন