দিনভর রোদ ও মেঘের খেলার মধ্যেই মৌসুমের প্রথম ঘন কুয়াশায় ভিজলো বগুড়ার মাটি

স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুমের প্রথম ঘন কুয়াশায় ভিজলো বগুড়ার মাটি। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) খুব ভোরে যারা বিছানা ছেড়ে বাইরে বের হন তারা ঘন কুয়াশা গায়ে মেখেই রাস্তা পারি দিয়েছেন। এটা দেখে মনে হতেই পারে আশ্বিন মাসে গা শিনশিনে ঠান্ডা বুঝি পড়ল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার পর কুয়াশা মিলিয়ে গেলেই ঠা ঠা রোদ, সাথে ভ্যাপসা গরম। হিসেবমত প্রকৃতিতে চলছে শরৎকাল।
রোদের মধ্যেও তাইতো সাদা মেঘ ছুটোছুটি করছে আকাশজুড়ে। কাশফুল ফুটেছে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুরে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে এখনও আষাঢ়ের ফুল কদম। এত কিছুর মধ্যেই শরতের শেষ প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া কুয়াশার চাদর মানুষকে শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য্য উপহার দিচ্ছে।
ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতিটি ঋতুর আছে নিজস্বতা। সেই নিজস্বতা হারাতে বসেছে যেন প্রকৃতি। বর্ষাকালে বৃষ্টি নেই। খরাই চারিদিকে হাহাকার, পানি নেই। সেই বৃষ্টি হলো ভাদ্র মাসে। সেই বৃষ্টিতে ভাসিয়ে দেয় চারিদিক। এদিকে গত কয়েক বছরের শীতের স্থায়িত্বকালে হিসেব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে শীতকালের সময়ও কমেছে। গত বছরতো ঠেকেছিল মাস দু’একে। তবে এবছর একটু অন্যরকম দেখা যাচ্ছে প্রকৃতি রানীকে।
এদিকে আশ্বিন মাস শুরুর পর থেকেই প্রতিদিন ভোরে এবং রাতে ধানক্ষেত, সবজি বাগান, গাছপালা ও রাস্তার ধারে ঘাসে জমে থাকছে শিশিরের ছোঁয়া। এরই মধ্যে আবার নিম্ন চাপের কারণে টানা বৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গাতেই পানি জমে যায়। সবজি ক্ষেতে পানি থাকায় অনেক সবজির গাছে পচন ধরে গাছ নষ্ট হয়ে দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির। তবে বর্তমানের আবহাওয়ার অবস্থা দেখে কৃষকরা বলছেন, একদিকে শিশিরবিন্দু, অন্যদিকে মাটি ভেজা শীতকালীন ফসলের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।
আরও পড়ুনআশ্বিন মাসেই সকালের কুয়াশা পড়া এবং রোদের তীব্রতা দেখে এবারের সামনের দিনগুলো মেলাতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরাও। সকালে কুয়াশা পড়ছে, শেষ রাতে কাঁথা জড়াতে হচ্ছে। অন্যদিকে সূর্য ওঠার পর থেকেই রোদ ঠিকরে পড়ছে জনজীবনে। সকালের কোমল, মসৃন ও মায়াময় দিনটি হয়ে উঠছে নিমিষেই কঠিন। এতে অবশ্য সুবিধা হয়েছে অনেকের।
কৃষক সবজি আবাদ করছেন প্রাণভরে। বাড়ির গৃহিনীরা শীতের কাপড় রোদে শুকিয়ে রাখছেন। ভাদ্রের ম্যারমেরে ভাব কাটাচ্ছেন বাড়ির আলমারিতে তুলে রাখা সব কিছু। কুয়াশামাখা সকাল আর দিনভর ঠা ঠা রোদ দিক না কেন আসল শীত রানীকে নিয়ে আসবেই হেমন্ত। প্রকৃতি যতই বিরূপ হোক না কেন শীত ঋতু তার সৌন্দর্য্য এবং প্রভাব নিয়ে আসবে মানুষের মাঝে।
মন্তব্য করুন