অভিনয়ে আলোচনায় ময়মনসিংহের সোহাগ

অভি মঈনুদ্দীন ঃ তার পুরো নাম এস এম আশরাফুল আলম (সোহাগ)। তবে মিডিয়াতে বা দর্শক তাকে তার ডাক নাম সোহাগ নামেই চিনেন জানেন। অভিনেতা হবার স্বপ্ন নিয়েই তিনি আজ থেকে বেশ কয়েকবছর আগে মিডিয়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। অভিনয় জীবনের শুরুটা তার রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর থেকে আজ অবধি তিনি একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন। নাটকে কখনো পজিটিভি চরিত্রে আবার কখনো নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে করে নিজেকে অভিনয়ে পরিপূর্ণ করে তোলারই চেষ্টা করেছেন বিগত বেশ কয়েক বছরে। এই সময়ে এসে নির্মাতাদের কাছে গল্পানুযায়ী একজন অত্যাবশ্যকীয় অভিনেতায় নিজেকে পরিণত করেছেন।

প্রতি মাসেই তার শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা থাকে ভীষণ। ময়মনসিংহের ত্রিশালের সন্তান সোহাগ বড় হয়েছেন ময়মনসিংহ শহরে। ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন থেকে এসএসসি, নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা সোহাগকে এখন সবাই এক নামে চিনেন জানেন। অভিনেতা হবার স্বপ্ন নিয়েই এসেছিলেন তিনি মিডিয়াতে, অভিনেতাই হয়ে উঠলেন তিনি। সোহাগের আলাদা দর্শক ভক্ত রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত তার অভিনীত নতুন নাটকব দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

এরইমধ্যে তার জীবনে নতুন এক অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়েছে। তিনি এবার ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’এর বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রথম তিনি ময়মনসিংহের সন্তান হিসেবে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পর্যায়ের (বাছাই পর্ব) বিচারক ছিলেন। এরপর তিনি রংপুরে বিভাগীয় পর্বের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ অক্টোবর ছিলো সোহাগের জন্মদিন। বেশ আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়েই কেটে যায় তার এবারের জন্মদিনটি। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভীষণ সুখী একজন মানুষ। ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমাদৃত শিক্ষক (রসায়নের) সোহানের (সিলেট ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র) আপন বড় ভাই সোহাগ। সোহাগ এই সময়ে এসে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’তে অভিনয় করে। এই নাটকে তার অভিনীত চরিত্রটি দর্শকের মধ্যে দারুন সাড়া ফেলেছে।

রাতে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির আভাস

সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশ-ইন

৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর মাইলস্টোন থেকে বের হলেন দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব

এছাড়াও তাইফুর জাহান আশিকের ‘মাথা গরম ফ্যামিলি’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্যও বেশ সাড়া পাচ্ছেন। এরইমধ্যে জাহিদ হাসানের প্রযোজনা সংস্থা থেকে প্রচার শেষ হওয়া ধারাবাহিক ‘ভাল্লাগেনা’তেও অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন সোহাগ। বর্তমানে প্রচার চলছে তার অভিনীত আরো কয়েকটি নাটক। যেমন ফরিদুল হাসানের ‘মহল্লা’, শামীম জামানের ‘শাদী মোবারক’। এছাড়াও এরইমধ্যে সোহাগ শেষ করেছেন তারিক মুহাম্মদ হাসানের ‘লাল মোরগের ঝোল’ নাটকের কাজ। এতে তিনি মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’ই তার অভিনীত একমাত্র সিনেমা। তবে সোহাগ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। চলচ্চিত্রে নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে চান। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। শিগগিরই তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। অভিনয় জীবনের এই সুবর্ণ সময় প্রসঙ্গে এস এম আশরাফুল আলম (সোহাগ) বলেন,‘ স্বপ্ন ছিলো অভিনেতা হবো, সময়ের ধারাবাহিকতায় অনেক কষ্ট ও শ্রম দেবার পর অবশেষে কিছুটা হলেও অভিনেতা হিসেবে দেশ বিদেশে আমার একটা পরিচিতি এসেছে। যখন যেখানে যাই , ভক্ত দর্শক ভালোবেসে আমার কাছে আসেন, আমার সঙ্গে কথা বলেন, কেউ কেউ ছবিও তোলেন-এই যে ভালোবাসা এর সত্যিকার অর্থেই কোনো তুলনা হয়না। সত্যিই আমার পরম সৌভাগ্য যে দর্শক আমাকে ভালোবাসেন, তাদের ভালোবাসায় আমাকে আগলে রাখেন। আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের প্রতি। কৃতজ্ঞ আমার সকল প্রযোজক, পরিচালক ও সহশিল্পীদের প্রতি। আজীবন ভালোবেসে অভিনয়টাই করে যেতে চাই।’