ভিডিও সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বন্ধ করতোয়া গেটলক সার্ভিস

বগুড়ার শেরপুরে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বন্ধ করতোয়া গেটলক সার্ভিস

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে করতোয়া গেটলক সার্ভিস বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে অফিস আদালতগামীসহ সাধারণ যাত্রীরা চরমদুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল ৫ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টায় শ্রমিকরা নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আজ ৬ অক্টোবর সোমবার ভোর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ একাত্মতা ঘোষণা করেন।

জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা হান্নান পরিবহনের একটি গাড়ি নিয়ম ভঙ করে ধুনটমোড়ে যাত্রী না তুলে সরাসরি আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনালে যাত্রী তুলতে গেলে কাউন্টার মালিকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে হান্নান পরিবহনের এক স্টাফ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে ওই স্টাফকে তিনি চড় মারেন।

এই ঘটনার জের ধরে পরদিন ৪ অক্টোবর শনিবার হান্নান পরিবহনের ড্রাইভার ও স্টাফরা বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুল হকের নেতৃত্বে বগুড়া রেলগেট ও সাতমাথা এলাকায় অবস্থানরত করতোয়া গেটলক সার্ভিসের স্টাফ বাবু, আব্দুল বারিক, শাহ আলমকে মারধর করে যাত্রী তুলতে বাধা দেন। ফলে করতোয়া গেটলক সার্ভিসের গাড়িগুলো যাত্রী ছাড়াই ফিরে আসতে যেতে বাধ্য হয়। 

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৬ অক্টোবর সোমবার থেকে তারা কোনো গাড়ি চালাবে না।
৬ অক্টোবর সকালে শেরপুর থেকে বগুড়াগামী কোন করতোয়া গেটলক ছেড়ে যায়নি, এতে করে দেখা যায় যাত্রীদের দূর্ভোগের চিত্র। 

আরও পড়ুন

বগুড়া অফিসগামী যাত্রী জিহাদ আলী বলেন, প্রতিদিন করতোয়া গেটলকে যাতায়াত করি, তারা সময়মতো চলে বলে আমরা সময় মত অফিসে যেতে সমস্যা হয় না। আজ সার্ভিস বন্ধ থাকায় অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে পারব কিনা জানি না। আদালতগামী যাত্রীসহ বগুড়াগামী যাত্রীরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি সমস্যার সমাধান ও সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতি শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, শ্রমিক দিন আনে দিন খায়। আমরা মালিকরা গাড়ি চালাতে চাই কিন্তু শ্রমিকরা না চালালে কীভাবে গাড়ি চলবে। যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করবে এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন বলেন, শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার যে দাবি জানিয়েছেন আমরা তাদের সাথে একমত। আশা করি সংশ্লিষ্টরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করবেন।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গ্রী ফরচুন অফার ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে দীপু মনি

অবসর ভেঙে ফিরবেন কিনা জানালেন আমির

ভূরুঙ্গামারীর কালজানি নদী দিয়ে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুড়ি

বিসিবি নির্বাচন: প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোয় প্রশ্ন তুললেন দেবব্রত