লালমনিরহাটে আর চোখে পড়ে না চিরচেনা কাশফুল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: হারিয়ে যাচ্ছে কাশফুল, নিঃশব্দে বিদায় নিচ্ছে শরতের সৌন্দর্য! গ্রামীণ জনপদে আর দেখা মেলে না কবির কল্পিত কাশবন। কাশবনে নববধূর আনাগোনা। ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস নিয়ে শরৎকালের রাজত্ব। আর শরতের সৌন্দর্য কাশফুল।
শরৎ রাণী যেন কাশের বোরখা খানি খুলে, কাশ বনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে। শরৎকাল এলেই গ্রামবাংলার ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি দেখা যেত। কিন্তু এখন আর লালমনিরহাটে কাশফুল চোখে পড়েনা। নদীর দু’ধারে, শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন।
জেলার বিভিন্ন খাল-বিল, পুকুরপাড় ও নদীর পাড় সাদা হয়ে থাকতো কাশফুলে। পালকের মতো নরম এবং সাদা ফুলের কাশফুল এখন আর চোখে পড়ে না। শরৎকালে রোদ-মেঘের খেলায় কাশবনের ফুলগুলো নদীর ঢেউয়ের মত দোল খেতো। এসময় অজান্তেই মানুষের মনে ভিন্ন রকম আনন্দের ঝিলিক বয়ে যেতো। ফুল প্রেমিক আরমান আলী বলেন, কাশফুল শরতের প্রতীক। খাল, বিল, নদী কিংবা রাস্তার পাশে কাশফুল দেখলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে। কিন্তু এই ফুল এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। প্রকৃতি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে কাশফুল।
আরও পড়ুনকলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, লালমনিরহাটে একসময় বিভিন্ন নদীর তীরসহ, খাল-বিল, ক্ষেতের আল ও পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন পতিত জমিতে কাশবনে ভরপুর ছিল। প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যাওয়া এবং উপলব্ধি না থাকায় কাশবন ও কাশফুল নীরবেই হারিয়ে যেতে বসেছে।
মন্তব্য করুন