ভিডিও শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

দিনাজপুরে ৩ হাজার মানুষ নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত

দিনাজপুরে ৩ হাজার মানুষ নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুর সদর উপজেলার মধ্যে বসবাস হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৪শ’ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত জীবনযাপন করছেন। সদর উপজেলায় পূনর্ভবা নদীর তীরে বসতি গড়ে ওঠা এই গ্রামটি খামার ঝাড়বাড়ী নতুনপাড়া নামে পরিচিত। সরেজমিনে গ্রামবাসীর সাথে কথা হলে জানা যায় তাদের বঞ্চিত হওয়ার একাধিক তথ্য।

গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খামার ঝাড়বাড়ী গ্রামের ভোটার তারা। তাদের কদর শুধু নির্বাচনের সময়, তখনই শুধু নেতাকর্মীদের আগমন ঘটে। এসময় প্রার্থীরা জীবনমান উন্নয়নে পূনর্ভবা নদীতে বেইলি ব্রিজ স্থাপন, সহজে নদী পারাপারের ব্যবস্থাসহ কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু নির্বাচন শেষে আর কারো দেখা মেলে না। এমন কি কেউ খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেয় না।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, মহল্লায় শিশুদের জন্য কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায়, এখন পর্যন্ত শিক্ষার মানের কোন অগ্রগতি নেই। রাতে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো কোন কমিউনিটি ক্লিনিক নেই। ফলে চিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। কারণ এখান থেকে দিনাজপুর শহরে যেতে ৪ কিলোমিটার পথ ঘুড়ে কাঞ্চন সেতু পার হয়ে যেতে হয় তাদের। তাই নাগরিক সুবিধার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সু-দৃষ্টি আহবান করেন তারা।

দিনাজপুর সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. দাইয়ান হোসেন জানান, সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পূনর্ভবা নদীর  চড়ে ৪শ’ পরিবারের বসবাস রয়েছে। এরমধ্যে ৩৫০টি মুসলিম এবং ৫০টি  হিন্দু পরিবার।

সরকারিভাবে ১৮৮ পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিনে ঘর নির্মাণের জন্য স্থায়ী বসবাসে মালিকানার কাগজ প্রদান করা হয়েছে। ৬০টি পরিবারকে লিজের মাধ্যমে প্রত্যেককে ৩ শতক করে খাস জমি সরকারিভাবে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। অন্য পরিবারগুলো পরবর্তীতে বসবাস শুরু করায় তারা লিজ ছাড়াই বসবাস করছেন।

আরও পড়ুন

 
ওই মহল্লার বাসিন্দা মো. জবেদ আলী জানান, তিনিসহ লিজ বঞ্চিত ১৫২টি পরিবার লিজ গ্রহণের জন্য সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে গত দু'বছর হলো আবেদন করেছেন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত বাড়ির কোন বরাদ্দের কাগজপত্র পাননি। তাই বৈধভাবে লিজ প্রদানের কাগজ দেওয়ার দাবি করেন তারা।

গ্রামবাসী আর অভিযোগ করেন, গত ১০ বছর আগে সদর উপজেলা প্রশাসন স্থান পরিদর্শন করে ৩৩ শতক জমি প্রাইমারি স্কুলের জন্য নির্ধারণ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্কুল প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া গ্রামের নারীরা বিধবা, মাতৃত্ব, গর্ভবতী, বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত। কয়েকজন নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করে ভাতা পাচ্ছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীজ শাহীন সুলতানা বলেন, তিনি গত কয়েক মাস আগে যোগদান করেছেন। বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মহল্লাবাসীদের সরকারিভাবে কি ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

জাতিসংঘ সভাপতির পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা ফিলিস্তিনের

আসন্ন নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় প্রত্যাশায় বিএনপি

মানবপাচারকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেল ৩৮ জন, আটক ২

জার্মান ঐক্য দিবসে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

বগুড়া শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত