ভিডিও বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধাপরাধের দায়ে কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুদণ্ড

যুদ্ধাপরাধের দায়ে কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুদণ্ড, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধাপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এম২৩ বিদ্রোহীদের সহায়তার অভিযোগে তার অনুপস্থিতিতেই সামরিক আদালত এ রায় ঘোষণা করে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধাপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কঙ্গোর সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলাকে (৫৪) অনুপস্থিত অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত। গত শুক্রবার দেওয়া এ রায়ে কাবিলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে হত্যা, যৌন সহিংসতা, নির্যাতন ও বিদ্রোহে উসকানির মতো বিষয়ও রয়েছে। কাবিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি পূর্ব কঙ্গোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সহায়তা করেছেন। তবে আদালতে হাজির না হয়ে কাবিলা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং আদালতকে ‘দমননীতির হাতিয়ার’ বলে আখ্যা দেন। তার বর্তমান অবস্থান অজানা।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত বাবা লরঁ কাবিলার পর ক্ষমতায় আসেন জোসেফ কাবিলা। টানা ১৮ বছর দেশ শাসন করে ২০১৯ সালে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স সিসেকেদিকে। তবে পরে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০২৩ সালে কাবিলা স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। গত এপ্রিলে তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলে চলমান সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখতে চান। এরপর চলতি বছরের মে মাসে এম২৩-নিয়ন্ত্রিত গোমা শহরে হাজির হন তিনি।

আরও পড়ুন

কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট সিসেকেদি অভিযোগ করেন, কাবিলাই এম২৩ বিদ্রোহীদের পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর সিনেট তার সাংবিধানিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে দেয় এবং এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ার পথ উন্মুক্ত হয়। এই বছর এম২৩ বিদ্রোহীরা খনিজসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ দখল করে নেয়। দখলকৃত অঞ্চলের মধ্যে গোমা, বুকাভু শহর এবং দুটি বিমানবন্দরও রয়েছে। জাতিসংঘসহ একাধিক পশ্চিমা দেশ অভিযোগ করেছে, প্রতিবেশী রুয়ান্ডা এম২৩-কে সমর্থন দিচ্ছে এবং হাজারো সেনা কঙ্গোতে পাঠিয়েছে।

তবে কিগালি অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা শুধু সংঘাতের প্রভাব নিজেদের ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কাজ করছে। পরে চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও সহিংসতা এখনও থামেনি। কঙ্গো পূর্বাঞ্চলে রক্তপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মায়ের মৃত্যু ছেলে আহত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত জামিন সংক্রান্ত বক্তব্য আইজিপির নয়: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স‌‌‌

আ. লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে : ডা. জাহিদ

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০

জুলাই আন্দোলনে নিহত শিশুদের পরিবারকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত