জয়পুরহাটের পাঁচবিবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে সেবা ব্যাহত

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : পাঁচবিবি উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। বিগত সময়ে চিকিৎসাসেবা ও ব্যবস্থাপনায় দেশসেরা সাফল্যের স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে অপ্রতুল জনবল নিয়ে হাসপাতালটি পরিচালনা ও চিকিৎসাসেবায় চাপে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। তবে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকট নিয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন বলে জানান উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তরুণ কুমার পাল।
পাঁচবিবি উপজলা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মহিপুরে ১১ একর ১৬ শতক জায়গার ওপর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট ২০৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩১ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ৭৩ জন। সিনিয়র, জুনিয়র ডাক্তার ও কনসালটেন্ট পদে মোট ২৮ জনের স্থলে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১১ জন।
নার্স ও মিডওয়াইফ পদে রয়েছেন ৩৯ জন। অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১১০ জনের স্থলে রয়েছেন ৫২ জন এবং সিএইচপি ৩০টি পদের স্থলে আছে ২৯ জন। এছাড়া এখানে ডা. রেজোয়ানা শারমিন নামে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করলেও তিনি ডেপুটেশনে ঢাকার শহীদ সোহরাওর্য়াদী হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
এ কারণে হাসপাতালে গর্ভবতীসহ অন্যান্য মহিলারা চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালে সিজারের জন্য ব্যবস্থা থাকলেও গাইনিসহ অন্য সকল চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন গর্ভবতীসহ গড়ে ১০ জন অন্যান্য রোগীকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আরও পড়ুনউপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তরুণ কুমার পাল বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিদিন আউটডোরে ৩শ’ থেকে ৪শ’ রোগী দেখছি। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় সময় ৫০ জনের স্থলে ভর্তি থাকে ৭০ থেকে ৮০ জন। অনেক সময় তা শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। ডাক্তার সংকট হওয়ার কারণে স্বল্প সংখ্যক কর্মরত ডাক্তারগণ অতিরিক্ত ডিউটি করছেন। এতে করে অনেক ডাক্তার অসুস্থও হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাক্তার সংকট থাকায় প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি আমি নিজেও নিয়মিত ওয়ার্ডে ও অফিসে রোগী দেখি। তবে জনবল সংকটের কারণে আলট্রাসাউন্ড মেশিনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও একমাত্র ইসিজি ছাড়া সার্বক্ষণিকভাবে অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া পরীক্ষার জন্য রিয়েজেন্ট ও এক্সরে ফিল্মের সংকট রয়েছে। চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ ঊর্ধ্বতনমহলকে অবগত করেছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন