ডাকসুতে নির্বাচিত হলে মেয়েদের হলে সিলিং ফ্যান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আলভীর

ঢাবি প্রতিনিধি : আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই নিজেদের নানা পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার তুলে ধরছেন। শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে কেউ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন অবকাঠামো উন্নয়নের, কেউ বা বলছেন নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সেবার কথা। এরই ধারাবাহিকতায় ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী মো. এম আবরার আলভী নির্বাচিত হলে মেয়েদের হলগুলোতে সিলিং ফ্যানসহ পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ও আরামের সুবিধা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন।
মো. এম আবরার আলভী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক। তিনি মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলে পর্যাপ্ত আরামদায়ক পরিবেশ এখনো নিশ্চিত হয়নি। বিশেষ করে গরমের সময় বিদ্যমান বৈদ্যুতিক সুবিধার সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এজন্য নির্বাচিত হলে প্রথমেই মেয়েদের হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা করতে চান তিনি।
শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। আলভী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ও আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে একটি কুইক রেসপন্স সেল (QRC) গঠন করা হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে এই সেল শিক্ষার্থীদের দ্রুত সহায়তা দেবে এবং তাদের অভিযোগ বা বিপদের সময় সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
এছাড়া ভর্তি ফি, হল ফি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রমকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনার কথাও জানান আলভী। তার দাবি, “ডিজিটাল সিস্টেম চালু হলে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন ঝামেলামুক্তভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারবে, অন্যদিকে প্রশাসনিক দুর্নীতিও অনেকাংশে কমে আসবে।”
আরও পড়ুনরিকশা সেবার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন এই প্রার্থী। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে রিকশাচালকদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম চালু করা হবে। একইসঙ্গে স্বচ্ছ ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ভাড়া না দিতে হয় এবং সার্বিকভাবে পরিবহন ব্যবস্থা শৃঙ্খলায় ফিরে আসে।
নিজেকে “শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, সমস্যা সমাধানকারী” হিসেবে পরিচয় দিয়ে আলভী বলেন, “ডাকসু হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম। আমি নির্বাচিত হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ন্যায্য চাহিদা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক, নিরাপদ ও ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপান্তর করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে আলভীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নযোগ্য ও জরুরি। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের প্রতিশ্রুতি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তবে অনেকে মনে করছেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ হলেও বাস্তবায়ন কঠিন—নির্বাচনের পর প্রার্থীরা কতটা অঙ্গীকার রক্ষা করবেন, সেটিই হবে দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন