রান্না এখন শিল্প এই শিল্পে জড়িত হয়ে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন
‘সেরা রাঁধুনী’ প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ বগুড়ার মেয়ে তামান্না সংবর্ধিত

স্টাফ রিপোর্টার : দেশব্যাপী ‘সেরা রাঁধুনী’ প্রতিযোগিতায় সিজন-৮ এর প্রথম রানার আপ বগুড়ার তামান্না ইয়াসমিনের সংবর্ধনা দিয়েছে উইমেন কার্লিনারী এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ বগুড়া অঞ্চল। এ উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে শহরের জলেশ্বতরীতলার লোকমা রেঁস্তোরায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তামান্না ইয়াসমিনের হাতে ক্রেস্ট ও ফুল তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বগুড়া তহুরুন নেছা মহিলা সংসদের সাধারণ সম্পাদিকা মাহমুদা হাকিম, গাজী রিয়েল এস্টেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাছরিন সুলতানা নাজু, গাবতলী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফজিলাতুন নেছা, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইমেন কার্লিনারী এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ বগুড়া অঞ্চলের সভাপতি ইশরাত জাহান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড প্রতিবছরই দেশজুড়ে সেরা রাঁধুনী খুঁজে বের করেন। এবার আমাদের বগুড়ার একটি মেয়ে সেরা তিনজনের মধ্যে প্রথম রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এটা বগুড়াবাসীর জন্য অবশ্যই গর্বের একটি বিষয়। তামান্নাকে দেখে বগুড়ার অন্য নারীরাও অনুপ্রাণিত হবেন।
বক্তারা আরও বলেন, এখন শুধু রসনার জন্যই রান্না করা হয় না। রান্না এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এই শিল্পে দেশের অনেক নারী জড়িত হয়ে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তামান্না ইয়াসমিন বলেন, নিজের শহরে এমন অভিবাদন পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি অভিভূত হয়ে গেছি। কয়েক মাসব্যাপী সেরা রাঁধুনীর প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে। রান্নার প্রতি আমার ফ্যাসিনেশন থাকলেও সেরা রাঁধুনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মত প্রস্তুতি ছিলো না। কারণ যখন এই প্রতিযোগিতার জন্য রেজিস্ট্রেশন করি তখন সবে আমি অনার্স পরীক্ষা দিয়েছি। স্বজনদের চাপেই অংশগ্রহণ করি। আমি বিশ্বাসও করতে পারছিলাম না এতদূর পর্যন্ত আসতে পারবো। তবে কয়েক ধাপ অতিক্রম করার পর কিছুটা সিরিয়াসলি হয়ে সব ধানগুলো অতিক্রম করেছি।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান ইশরাত জাহান বলেন, তামান্না আমাদের বগুড়ার মেয়ে। আমরা যেহেতু নারীদের নিয়েই কাজ করি, তাই ভাবলাম আমার শহরের জন্য যে মেয়েটি এতবড় গৌরব অর্জন করে নিয়ে এলো, তাকে কেন আমরা সম্মান জানাবো না।
অনুষ্ঠানে রান্না নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করা নারী উদ্যোক্তারাসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন