_medium_1759487382.jpg)
হার না মানা এক অদম্য নারী ববিতা
নিজের আলোয় ডেস্ক : হার না মানা এক অদম্য নারী ববিতা রানী। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৪নং তারগাও ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে তার বাড়ি। প্রতিটি নারীর সফলতার পেছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ তার ইচ্ছা শক্তি মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর।
নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন বহুদূর। একজন সফল গৃহিনীর পরিচয়ের পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে তুলেছেন নিজেদের। ববিতা রানী তাদের একজন হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। সংসার জীবন মানে যুদ্ধক্ষেত্র আর উদ্যোক্তামানেই যোদ্ধা। সাহস আর কর্মদক্ষতা না থাকলে যুদ্ধ ক্ষেত্র যেন মূল্যহীন তেমনি ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হলো অর্থ। অর্থ না থাকলে স্বপ্ন যেন বৃথা। তাই যুদ্ধক্ষেত্র নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। একদিকে অর্থ সংকট অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ পাওয়া অনেক কঠিন, কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসা করতে হলে পুরুষের চেয়ে নারীদের সাহসী হতে হবে মনে করেন ববিতা রানী। ববিতা রানীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অর্থায়নই নারীদের ব্যবসার বড় বাঁধা। তিনি ৪ বছর আগে একটি রিং এবং হাফ কেজি কেচো দিয়ে শুরু করেন এই কেচো সার উৎপাদনের।
আরও পড়ুন
১টি রিং থেকে বর্তমানে ১০০টি রিংয়ে চলছে তার কেচো কম্পোষ্ট সার উৎপাদন। বিভিন্ন খামার থেকে গবর সার এনে তা রিংয়ে ভর্তি করে কেচো দিয়ে তৈরী করা হয়। এই সার উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। মাসে ৩ টন সার উৎপাদন করা হয়। ববিতা রানী নিজে স্বামী, ছেলে ও বৌমা মিলে চার জনে এই সার উৎপাদন করেন। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে তাদের ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে। তার ভার্মি কম্পোষ্ট এই কেচো সার। দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কাহারোল উপজেলা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে তাকে সহযোগিতা করে কৃষি অধিদপ্তর। ববিতা রানী বলেন, প্রথমে যখন শুরু করি মানুষ আমাকে অনেক কিছু বলেছিল কেচো নাড়তেছি মানুষ ঘৃনা করে। আমার সফলা দেখে এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি পরিবার ঝুকেছেন এই কেচো কম্পোষ্ট সার তৈরির দিকে। আমার এখান থেকে নিজ উপজেলা ছাড়া পাশ্ববর্তী উপজেলায় এই সার নিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। ববিতা রানী বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমার এই প্রতিষ্ঠান অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন