ভিডিও বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক, বারসিকের গবেষণা

রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক, বারসিকের গবেষণা

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। এ সব ব্যবহারের ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়েছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এটি নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক কীটনাশক।

চলতি বছরই রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর ৮টি উপজেলার ১৯টি কৃষি প্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই বিভিন্ন নামে মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশকসমূহ।

এ সব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, কিন্তু বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ বা যেসব কীটনাশক এখনও পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান) ইঁদুর মারা বিষ(বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া গেলেও সরকারের কোন তদারকি নেই। এসব কীটনাশক ব্যবহার করে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধির প্রয়োগ, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন কর, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাকেরগঞ্জে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

টেকনাফে মাছ ধরার নৌকায় মিললো দুই লাখ ইয়াবা, আটক ৪

সংবিধান সংশোধনে অনির্বাচিত হস্তক্ষেপ চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

চাঁদপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাওয়ায় হাসপাতাল মালিককে জরিমানা

জুলাই অভ্যুত্থানের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব

সরকারে এলে ৫০ লাখ নারীকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার ঘোষণা তারেক রহমানের