বর্ষায় এলো ড. প্রিয়াংকার কন্ঠে ‘আজি নেমেছে আঁধার’
_original_1752327062.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ ড. প্রিয়াংকা গোপ, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত আছেন। বর্ষা উপলক্ষ্যে ‘প্রিয়াংকা গোপ অফিসিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে ‘আজি নেমেছে আঁধার’ শিরোনামের খুব সুন্দর একটি গান।
গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ রাজিবুল হাসান, সুর করেছেন সোনালী রায়, সঙ্গীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়। গানটিতে নৃত্য পরিবেশন করেছেন উম্মে হুমায়রা উপন্যাস। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন ইফতেখার মুনিম।
গানটি প্রসঙ্গে প্রিয়াংকা গোপ বলেন,‘ গানটি প্রকাশের শুরুতে আমি খুউব ভালো পেয়েছি। আমি মনেকরি ক্ল্যাসিক্যাল, সেমি-ক্ল্যাসিকাল, রাগ প্রধান কিংবা ক্ল্যাসিক মেলোডি ঘরানার গান থাকা উচিত। বিশেষত বলবো আমি এই সময়টাতে এই ধরনের কিছু গান থাকা উচিত। কারণ আগামীতে যদি এই একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে আলোচনায় করা হয়, তখন যেন তা শূণ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেই ভাবনা থেকেই সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আসলে আজি নেমেছ আঁধার-গানটি করা। আমি আগেও এই ধরনের গান করেছি। অনেক দিনের অপেক্ষা এই গানটি। আমার ছোট্ট চ্যানেলের অদ্যাবধি বিগ বাজেটের একটি কাজ। রাজীব ভাই এত সুন্দর গানখানি কী করে লিখলো কে জানে! সোনালী দি ও হৃদয় কাড়া সুর করলেন, তাতে বিনোদ দা, পল্লব দা, মামুন দিলেন জাদুর ছোঁয়া। মুনিম ভাই ভালোবাসা দিয়ে বানালেন দৃষ্টিনন্দন ভিডিওচিত্র। ফোরকান ভাইয়ের ক্যামেরার কারসাজিও একটা আশ্চর্য। আর আমার সাথে যে নীল পরীটিকে স্ক্রীনে দেখছেন, ওইদিন ভয়াবহ গরমে মাথায় রোদ নিয়ে পা পুড়িয়ে নৃত্যভঙ্গিমায় মুখরিত করেছে উপন্যাস। আমাদের সাজিয়েছে সুমন। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সকলের প্রতি। প্রোডাকশনের সবাই, আমার বর, দীনা, ফরিদ ভাই, সজীব-সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার আনন্দ।’
আরও পড়ুনপ্রিয়াংকার বাবা বাসু দেব চন্দ্র গোপ। তার মা ভানু রাণী গোপ। তারা তিন বোন। আর দুই বোন হলেন সূচনা ও কুন্তলা। প্রিয়াংকার গ্রামের বাড়ি গাীপুরের কালিগঞ্জের ভাওয়াল জামালপুরে। গানে প্রিয়াংকার হাতেখড়ি বড় বোন সূচনা গোপের কাছে। পরবর্তীতে বাবার চাকুরীর সুবাদে টাঙ্গাইলে থাকালীন সময়ে ওস্তাদ আনন্দ চক্রবর্ত্তীও কাছে গানে তালিম নেন দীর্ঘদিন। টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারী উচ্চবিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে সরকারী কুমুদিনী কলেজে পড়াশুনা শেষ করে ‘আইসিসিআর’ স্কলারশিপ নিয়ে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্ল্যাসিক্যাল ভোকাল বিষয়ে অনার্স এবং পরবর্তীতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। আনন্দ চক্রবর্ত্তী’র পর প্রিয়াংকা ড. অসিত রায়, পণ্ডিত অরুণ ভাদুড়ী ও বিদুষী ঊর্মি দাশগুপ্তের কাছে গানে তালিম নিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে সানী জুবায়েরের সুর সঙ্গীতে ‘অনিল বাগচীর একদিন’ সিনেমায় গান গাওয়ার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রিয়াংকা।
মন্তব্য করুন