ভিডিও শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বাড়ছে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : ভারতে থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কে আছেন নদী সংলগ্ন ৭৯টি চরে মানুষের মাঝে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত।গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তাতে যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিস্তার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন টানা কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে চাষাবাদকৃত ফসলের ক্ষেত। তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকার বাসিন্দা লতিফুর রহমান বলেন, আমরা নদী পাড়ের মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকি। বন্যা, খরা নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের জীবন অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে ভারতের উজানে যে গেট রয়েছে তার নাম গজলডোবা। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। খরা মৌসুমে গেটটি বন্ধ রাখা হয় আর বর্ষা এলেই থেমে থেমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে দেয় ভারত। কারণ বৃষ্টির পানিতে বন্যা হয় না, বন্যা হয় ভারতের উজানের পানিতে।

আরও পড়ুন

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে পানি এখনও বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।

এনিয়ে কথা হলে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, পানি এখনও বিপদসীমার নিচে আছে, তবুও আমরা সতর্ক রয়েছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৫০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা

ময়মনসিংহে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে ছয় জন নিহত , বাসে আগুন

বগুড়ার ধুনটে ঈদ বকশিশ না পেয়ে স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

বগুড়ায় দুপচাঁচিয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ২

নওগাঁর পত্নীতলায় ভটভটির সাথে সংঘর্ষে পিকআপ চালক নিহত

বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের মারপিটে নিহত শাকিলের পরিবারের পাশে জামায়াত