ঢাকায় কাঁচা চামড়ার দাম কম, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

এবারও কোরবানি পশুর চামড়ার প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় প্রতিটি গরুর চামড়া আকারভেদে ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির চামড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০ টাকায়। এতে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ চামড়ার দাম গত বছর আরও বেশি ছিল। এবার চামড়া সংগ্রহ গতবারের চেয়ে কম হবে বলছে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি।
কোরবানি ঈদের প্রথম দিন সকাল থেকে চামড়া আসতে শুরু করে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায়। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে এসব চামড়া এনে জড়ো করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
পোস্তায় মাঝারি আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর ছাগলের চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম পাচ্ছেন না তারা। এজন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যকে দায়ী করছেন তারা।
একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, ‘১ হাজার ২০০ মাল আছে। বিক্রি হয়নি। ৭০০ টাকা করে দাম উঠেছে। এখনও ছাড়িনি আমি। আর খুচরা কিছু মাল ছিল, সেগুলো বিক্রি হয়েছে, ৭৫০ টাকা দিয়ে। গতবার নয়শ–এক হাজার এরকম করে গেছে। এ বছর আরও খারাপ।’
আড়তদারদের দাবি, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ বাড়ায় কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা কম ধরছেন তারা।
আরও পড়ুনএকজন আড়তদার বলেন, ‘গুটির মতো একটা দাগ হয়, এটার জন্য এবার দাম দেবে না ট্যানারিওয়ালারা। কষ্ট করে হলেও দেখে নিতে বলেছে, এজন্য দামটা এবার একটু কম। অন্যদিকে ঢাকা সিটির চামড়াটাই এখন আমাদের হাতে। বাইরের কোনো মাল এখনও আসেনি।’
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, এবার ৮০-৮৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তাদের। সংগঠনটির অভিযোগ, এবারও লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা এখন যেটা আছে, গতবার ১ লাখ ছিল, এবার ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে। এবার গরুর আমদানিও কম হয়েছে, চামড়াও কম আমদানি হবে। আর লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। আমরা চাচ্ছি, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে।’
এবার রাজধানীতে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০-৬৫ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
মন্তব্য করুন