ভিডিও শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

শনির আখড়া পশুরহাটে জমজমাট বিক্রি

শনির আখড়া পশুরহাটে জমজমাট বিক্রি

রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী পশুরহাট শনির আখড়া (দনিয়া ক্লাবের পূর্ব পাশে ও ছনটেক মহিলা মাদ্রাসার পশ্চিমের খালি জায়গায় হাট)। এ হাটে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে ক্রেতার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে পশু বিক্রি। বিক্রেতারা আশা করছেন, আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ও শুক্রবার (৬ জুন) জমজমাট বেচাকেনা হবে।

শনির আখড়া পশুরহাট ঘুরে বিক্রেতা, ক্রেতা, হাসিল আদায়কারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

নরসিংদী থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, এবার তিনি ৪৫টি গরু এনেছিলেন। বুধবার (৪ জুন) পর্যন্ত চিন্তায় ছিলেন। বিক্রি হচ্ছিল না। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ১৭টি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন, আগামীকালকের (শুক্রবার) মধ্যে সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া  থেকে আসা সালাম  জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে বিক্রি জমতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতা বাড়ে। তিনি ১২টা গরু বিক্রি করেছেন। আরো ২৫টা আছে। শুক্রবারের মধ্যেই সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করছেন।

নাটোরের সুলতান হোসেন গত তিন দিন ধরে গরু বিক্রি করতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পাঁচটি গরু বিক্রি করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি লোকসান খেতে হবে। এখন বিক্রি হতে দেখে তিনি সাহস পেয়েছেন।

শনির আখড়া পশুরহাটে রায়েরবাগ থেকে গরু কিনতে এসেছেন শরিফুল হক। তিনি তার ভাগিনা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। দেড় লাখ টাকায় গরু কেনার লক্ষ্য তার। দরদাম চলছিল তখনো। শরিফুল হক বলেন, ‘‘সাবধানে কিনতে চাই। কয়েকটা দেখে দামাদামি করছি। দেখি কী হয়?’’

পশুরহাটে শুধু পুরুষ নয়, নারীদেরও সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। মর্জিনা এসেছেন স্বামী আতিক হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবছরই হাটে আসি। গরু দেখি, দরদাম করি। এবারও এসেছি। নিজ চোখে না দেখলে ভালো বোঝা যায় না।’’

আরও পড়ুন

হাটে নারীদের কেউ কেউ সরাসরি বিক্রেতাদের সঙ্গে দরদাম করছিলেন। গরুর দাঁত, বয়স, ওজন এবং সম্ভাব্য মাংসের পরিমাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলেন। কুতুবখালী থেকে আসা আবু রায়হা বলেন, ‘‘আমি, আমার বাবা, দুই ভাই ও চাচা মিলে এসেছি। হাটে এলে অনেক কিছু শেখা যায়। গরুর দাম, জাত, মাংস কেমন হয়, এসব বোঝা যায়।’’

হাটের হাসিল ঘরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাসেতুল  আলম জানান, গত তিন দিন তাদের বসে বসে সময় কাটাতে হয়েছে। বিক্রি তেমন ছিল না। আজ ভোরের পর থেকে পাঁচটি হাসিল ঘরই খোলা। ক্রেতা-বিক্রেতা বেড়েছে।

সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা সরকার নির্ধারিত হারে হাসিল নিচ্ছেন তারা। তিনি আরো জানান, গরুর দাম হিসাবে হাসিল নেয়া হচ্ছে। নিয়মিত রশিদ দেয়া হচ্ছে, যাতে কোনো অনিয়ম না হয়।

হাটের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত কদমতলী  থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন  বলেন, বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যার পর হাটে ভিড় বাড়লেও এখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের টিম কাজ করছে। নারীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। ছিনতাই, চুরি বা দালালের দৌরাত্ম্য যেন না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। 

গরু ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে অনেক পশু হাটে প্রবেশ করেছে। আজকের বিক্রি দেখে তারা আশাবাদী বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ও শুক্রবারে (৬ জুন) হাটে গরু সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ বিক্রি হবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের নামাজ শেষে দেশের মঙ্গলে সবার দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

শাকিব খুব লক্ষী ছেলে: জয়া

বর্তমান কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

সাভারে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

বায়তুল মোকাররমে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত

আজ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ