প্রধান উপদেষ্টার জাপানে দেওয়া বক্তব্যে আমরা হতাশ: ড. খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, তা কিন্তু নির্বাচনের কারণেই হচ্ছে। আমরা কিন্তু অনেক বিশ্বাস করে ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। কিন্তু উনি জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তাতে হতাশ।
রবিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ কর্তৃক জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সংস্কারের পক্ষে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে সেসব সংস্কার বাস্তবায়নও করবো। জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে আগামীকাল (সোমবার, ২ জুন) থেকে আলোচনা শুরু হবে, আমরা তাতে যাবো। তবে আমরা চাই, সংস্কার প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হোক।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তাতে হতাশ। তিনি বলেছেন একমাত্র বিএনপিই নাকি নির্বাচন চায়। অথচ আমরা বোঝাতে চেয়েছি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিলে সবদিক দিয়েই তা ভালো হবে। আমি আশা করবো, প্রধান উপদেষ্টা দেশের মধ্যে আর কোনও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।’বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে বলেছিল, তিনি ছাড়া বিএনপি ইজ জিরো। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া সাহসিকতার সঙ্গে বিএনপির হাল ধরেছিলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শিকতায় তিনি দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিল। কিন্তু এত নির্যাতন সত্ত্বেও বিএনপিকে দমানো সম্ভব হয়নি।’
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, ‘সরকারের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ গোপনে বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তো বিএনপি টু-থার্ড মেজরিটি নিয়ে সরকার গঠন করবে। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা গিয়েছিলাম। আমরা কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই, তার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি। আমরা বলেছি, ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য একটি উপযুক্ত সময়। আমরা মনে করি, নির্বাচন দিতে যত বিলম্ব হবে, পতিত সরকার নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকবে। কিছু ষড়যন্ত্রের নমুনাও আমরা দেখছি। সুতরাং, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া উত্তম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তো একটা সময় বিদায় নিতে হবেই। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের মধ্যে বিদায় নিলে সসম্মানেই বিদায় নেওয়া সম্ভব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন