সাম্য হত্যা: রিমান্ড শেষে রাব্বিসহ দুজন কারাগারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আসামি রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি ও মেহেদী হাসানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৩ মে দিবাগত রাতে ঢাকার গ্রিনরোড ও রাজাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তামিম, পলাশ ও মল্লিককে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরের দিন ১৪ মে তাদের কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ১৭ মে তাদের ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৩ মে পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৫ মে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে সোহাগ, হৃদয় ও রবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৭ মে আসামি কবুতর রাব্বি ও মেহেদী হাসানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে হৃদয় ও নাহিদ হাসান পাপেল দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে ১১ জনই কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে বলা হয়— গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্য, তার বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে পুরাতন ফোয়ারার কাছে, অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা সাম্য ও তার দুই বন্ধুর ওপর ইট, কিল, ঘুসি ও লাথি দিয়ে হামলা চালায়। এতে তারা মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। একপর্যায়ে এক হামলাকারী সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করেন। একইভাবে বন্ধু আব্দুল্লাহ বায়েজিদের ডান হাতের কব্জির ওপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।
আরও পড়ুনগুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সাম্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন