যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও অস্ত্র সমর্পণে সম্মতি নেই হামাসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি জন্য উন্মুক্ত হলেও অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি নয় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নেতারা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেছেন।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাস তাদের প্রস্তাবের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে সমর্থন গড়ে তোলার আশা করছে। তারা আরও জানিয়েছে, যুদ্ধের অবসান, গাজার পুনর্গঠন, ইসরাইলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজার সমস্ত জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ থেকে সাত বছরের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে হামাস।
হামাসের মিডিয়া-বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির আইডিয়া বা এর সময়কাল আমরা প্রত্যাখান করিনি। আমরা আলোচনার কাঠামোর মধ্যে এটি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। যুদ্ধের অবসানের জন্য আমরা যেকোনো গুরুতর প্রস্তাবের জন্য উন্মুক্ত।’ তবে নোনো হামাসের অস্ত্র সমর্পণের ইসরাইলের যে দাবি রয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামাসের অস্ত্র আলোচনার যোগ্য নয় এবং যতক্ষণ দখলদারিত্ব থাকবে ততক্ষণ তা আমাদের হাতে থাকবে।’তবে ইসরাইলের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল এই সপ্তাহে নতুন প্রস্তাবের সাফল্যের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামাস যদি বাকি ৫৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে, তাহলে আগামীকালই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।’
আরও পড়ুন২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ২০০০ এর বেশি মানুষ আর আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
মন্তব্য করুন