নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল ছাত্রদল নেতার মরদেহ
_original_1745667187.jpg)
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মীর হোসেন সাদ্দাম (৩২) নামের এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাদ্দমের গলা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল )দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদ্দাম। তিনি পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের প্রয়াত মমিনুল হকের ছেলে। তিনি রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ বাজারের সোলেমান ট্রেডার্স নামের একটি রড-সিমেন্টের দোকানে চাকরি করতেন তিনি।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, মীর হোসেন সাদ্দাম বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। রাত ৯টার দিকে স্ত্রীকে ফোনকলে জানান, পরিচিত এক ব্যক্তির জানাজায় যাচ্ছেন তিনি। সেখান থেকে ফিরতে এক-দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী ছয়ানী এলাকার একটি সড়কের ওপর নিখোঁজ মীর হোসেন সাদ্দামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর শনিবার সকালে পাশের একটি ধানের স্তূপে রক্ত দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। এর সূত্র ধরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন অদূরে থাকা পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকে পলিথিন মোড়ানো বস্তু দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পলিথিন খুলে মরদেহ দেখতে পায়।
আরও পড়ুনরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামাল হোসেন বলেন, ‘মীর হোসেন সাদ্দাম রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় যুবদলের পদ পেতে তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এলাকায় শান্ত প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত সাদ্দামের মৃত্যুর খবর এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে।’
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে মীর হোসেন সাদ্দামের সন্ধানে অভিযান চালায়। এর মধ্যেই আজ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাদ্দমের গলা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মন্তব্য করুন