ভিডিও মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস, ছবি: সংগৃহীত।

অবৈধ ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক’র করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। মামলায় জি কে শামীমের মা পলাতক ছিলেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এরপর জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা, আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক’র সমন্বিত জেলা কার্যালয় -১-এর উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ভবন থেকে এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

আরও পড়ুন

গ্রেফতারের সময় র‌্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে ছিল। এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়। জব্দ করা হয় তার ১৯৪টি ব্যাংক হিসাব। অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রংপুরের কাউনিয়ায় ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা যুবক গ্রেফতার

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

রাজাকার রাজাকার স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি : হাইকোর্ট

বগুড়ার ধুনটে অপহৃত মাদরাসাছাত্রী পাঁচ দিন পর উদ্ধার, পল্লী চিকিৎসক গ্রেফতার

বগুড়ায় ফেনসিডিল কারবারির দুই বছরের কারাদন্ড