ভিডিও শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

৬৩ হেক্টর ফসলি জমিতে চাষাবাদ হয়না

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মাটি লুটেরাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মাটি লুটেরাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ছবি : দৈনিক করতোয়া

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, রাতে-দিনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জেল-জরিমানা, মাটি পরিবহনের ট্রাক্টর জব্দ, ব্যাটারীসহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে আনাসহ নানা মুখী পদক্ষেপেও থামছেনা মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা কোনো মৌসুমেই থেমে নেই জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন পুকুরসহ ফসলি জমির উর্বর মাটি লুটেরারা।

গত আড়াই মাস ধরে এলাকায় কৌশলে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে পুকুর ও জমির উর্বর মাটি। কালাই পৌর শহরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলছে মাটি ব্যবসায়ী চক্রের এমন দৌরাত্ম্য।  তারা এসব পুকুর ও জমির মাটিকেটে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়ক ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কালাই উপজেলায় মাটি কাটছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এসব মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিচু জমি ভরাটের জন্য। প্রশাসনের অভিযানের পরও কমছেনা অবৈধ ভাবে মাটি কাটা। এতে অসহায় কৃষকরা না বুঝেই অল্প টাকার লোভে তাদের জমি ও পুকুরের মাটি কাটতে দিচ্ছে।

চুক্তি মতে ১-২ ফিট গভীর করে খনন করার কথা থাকলেও তারা আরও গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। না বুঝে মাটি কাটতে দিয়ে এখন তারা হতাশায় ভূগছেন। শুধু তাই নয়, এসব মাটি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ফসলি জমি ভরাটের কারণে এ উপজেলায় গত দুই বছরে প্রায় ৬৩ হেক্টর ফসলি জমি চাষাবাদ থেকে বিরত।

ইতোমধ্যে ফসলিজমি ও পুকুরের মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবুও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি। পুনটের বাসিন্দা ছাইদুর রহমানের ভাষ্য, মাটি খেকোদের অধিকাংশই স্থানীয়প্রভাবশালী। তারা পুকুর ও জমির মালিকদের অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে উপরের ২-১ ফিট মাটি কিনে নেয়।

আরও পড়ুন

তারপর ধীরেধীরে পুকুর ও জমির মাটি সমান তালে খনন না করে কোথাও গভীর আবার কোথাও উচু রেখে কাটতে থাকে। মালিকদের সাত-পাঁচ চৌদ্দ বুঝিয়ে ১০-১২ ফিট গভির করে জমির মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনা।

কালাই পৌরবিএনপির আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার বলেন, মাটি লুটের জন্য এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রুপে শক্তিশালী চক্রগড়ে উঠেছে। প্রশাসন চেষ্টা করেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। প্রশাসন যদি জোরালো পদক্ষেপ নিতেনাপারে, তাহলে এক সময় এ এলাকার ভূমি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইফতেখার রহমান বলেন, বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। জরিমানা করেও মাটি কাটাবন্ধ করা যাচ্ছে না। সামনে আরও কঠোর অভিযান চালানো হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘কালো মানিক’কে গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া

করোনায় ঢাকায় ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩

কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন-অটোরিকশা-বাইক সংঘর্ষ

ঈদের কয়েকদিন চার লাখ দর্শনার্থীর আশা চিড়িয়াখানায়

আন্দোলন স্থগিত করল পবিস

বুলু ও দুদুকে সতর্ক করল বিএনপি