ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক যুগেও সম্পন্ন হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক যুগেও সম্পন্ন হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী। ছবি : দৈনিক করতোয়া

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার নেওয়ারগাছা খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পাশাপাশি দু’টি সড়ক সেতু। এক যুগেও সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আর এতে এলাকার ৫টি গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

সেই সাথে সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। ২০১২ সালে জহুরা মহিউদ্দিন স্কুল থেকে চর নেওয়ারগাছা সড়কে উল্লাপাড়া পৌরসভা থেকে এ সেতু দু’টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পৌরসভা অফিসটি পুড়িয়ে দেওয়ায় এই সেতুর ব্যাপারে এখন সঠিক কোন তথ্য দিতে পারছেন না কর্মকর্তরা।

স্থানীয় লোকজন জানান, উক্ত সড়ক হয়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেওয়ারগাছা, চর নেওয়ারগাজা, শ্রীফোলগাঁতী, চর শ্রীফোলগাঁতী ও নন্দীগ্রাম গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরবাজার, বাসস্ট্যান্ড ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন।

সেই সাথে এসব গ্রামের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী জহুরা মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, খন্দকার আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়, নেওয়ারগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উল্লাপাড়া ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়া করতে কথিত সড়ক পথে চলাচল করে থাকে।

নেওয়ারগাছা খালের ওপর নির্মিত সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদেরকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাচল করতে হয়। আর এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় শিক্ষার্থী ও গ্রামের লোকজন। তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার আবেদন জানালেও তা কোন কাজে আসেনি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবিলম্বে সেতুর অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন ও দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য পৌরসভার প্রতি আবেদন জানান তারা।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (পিএনও) মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তিনি দু বছর ধরে এখানে এসেছেন। এ কারণে এই সেতুটির কাজ কেন সম্পন্ন হয়নি তা ভালোভাবে বলতে পারেন না।

উল্লাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিউল কবির জানান, তিনিও এখানে নতুন এসেছেন। মূলতঃ এসব কাজ তার দপ্তর থেকেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু গত জুন ও জুলাই (২০২৪) মাসের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় উল্লাপাড়া পৌরসভার অফিসটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে পৌরসভার সকল কাগজপত্র ফাইল পুড়ে যায়। ফলে ১২ বছর আগে এই সেতুটির ঠিকাদার কে ছিল বা কত টাকা বরাদ্দ ছিল অথবা কী কারণে সেতুটির কাজ পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব হয়নি তা বলা সম্ভব নয়।

উল্লাপাড়া পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, তিনি এই কর্মস্থলে নতুন এসেছেন। বিষয়টি এখনও জানেন না। তবে দ্রুত তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে ওই সেতু দু’টির অসম্পন্ন কাজ এবং দু’পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন এই প্রশাসক।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন

১৭ বছর ট্রফিখরা ঘুচে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

মব তৈরি করে যদি রায় নেয়া যায় তবে হাইকোর্টের দরকার কি : সারজিস

২৬ মে’র মধ্যে ইশরাককে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে : ব্যারিস্টার খোকন

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস

সাম্য হত্যার বিচার দাবি : বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ