ভিডিও বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়নি আড়াই বছরেও

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়নি আড়াই বছরেও, ছবি : দৈনিক করতোয়া

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা থানা বাসস্ট্যান্ড সড়কটির সংস্কার কাজ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। মাঝপথে ফেলে রেখে ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচলে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবেশ করে সড়কটি বন্দর তেমাথা হয়ে তালোড়া অভিমুখে চলে গেছে। থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্দর তেমাথা প্রায় এক কিলোমিটার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দু’পাশে দুপচাঁচিয়া পৌরসভা ভবন, পুলিশ স্টেশন, সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, মা ও শিশু কেন্দ্র, দুপচাঁচিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর ইউনিয়ন পরিষদসহ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

প্রায় এক কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিংয়ের পাথর ও খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত ঠিকাদার ২০২২ সালের শেষে প্রকল্পটির কাজ শুরুও করেন। ইটের খোয়া ও রাবিশ দিয়ে রাস্তাটি প্রাথমিক সমতলের কাজ করে মাঝপথে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। এতে  সড়কটির বিভিন্ন স্থানে রাবিশ ও খোয়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়।

পরে আবারও রাবিশ ও খোয়া দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে সড়কটির কাজ শুরু হলেও তা ফেলে রেখে ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে যান। দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুল ইসলাম লিটন, সাবেক কাউন্সিলর ইউনুস আলী সাখিদার, ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, আব্দুল ওহাবসহ অনেকেই জানান, সড়কটি সংস্কার কাজ মাঝপথে ফেলে রাখায় বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

শুষ্ক মৌসুমে ধূলাবালিতে ভরে থাকে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ যানবাহন চলাচলে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদারের গাফিলতের কারণে ২০২২ সালে শুরু হওয়া কাজটি আজও শেষ হয়নি। এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় আলোচনা হয়।

প্রকল্পটির ঠিকাদার একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে। ফলে নির্বাচিত ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাশ হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনে নাব্যতা ফিরে পাচ্ছে করতোয়া নদী

 মা ও পলাশের গায়ে তার স্ত্রী হাত তোলায় অভিমানে আত্মহত্যা  

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

জবিতে সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত