জুলাই আন্দোলনে বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ নূরুল্লাহকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সিএমএইচ এ প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ মো. নূরুল্লাহকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সিএমএইচ এ নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ২ টার পরপরই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সিএমএইচ এ নেয়া হয়েছে। এর আগে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয়।
মো. নূরুল্লাহ (২৪) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছোট নরিচা গাড়ির মো. সাইফুর রহমানের ছেলে এবং কাহালু সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মো. নূরুল্লাহ গত ১৮ জুলাই সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আহত হন নূরুল্লাহ। পুলিশের গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সার্জারি ওয়ার্ডে অপারেশন করে মাথায় বিদ্ধ গুলি বের করেন। পরবর্তীতে, নিরাপত্তার কারণে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে বগুড়া শহরের কলোনীস্থ হেলথ সিটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার এক সপ্তাহ পর নিজ বাড়িতে চলে যান।
এ অবস্থা চলার পর গতকাল সোমবার মো. নূরুল্লাহ শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে রাত দেড়টায় তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউ তে ভর্তি করান। নূরুল্লাহর চিকিৎসায় কোন ঝুকি না নিয়ে চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচ এ নেয়ার পরামর্শ দেন।
এ অবস্থায় গতকাল দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট সিএমএইচ এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা সিএমএইচ এ নেয়া হয়।
আরও পড়ুনশহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ও বৈষম্য বিরোধী ফোকাল পার্সন ডা. আল মামুন জানান, কাহালু সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. নুরুল্লাহ আজিজুল হক কলেজের সামনে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন।
তার মাথার খুলিতে গুলি আটকে যায়। সে সময় সফল অপারেশনের মাধ্যমে তার মাথা থেকে গুলি অপসারণ করা হয়। এরপর সে হেলথ সিটি ক্লিনিকে নিউরোসার্জন ডা. ফজলুর তত্বাবধানে ছিলেন। এত দিন সুস্থ ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত দেড়টায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আনার পরই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
ধারণা করা হচ্ছে তার ব্রেনে ইনফেকশন হয়েছে। সেখানে মাথার খুলির হাড় থাকতে পারে। জটিল অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হতে পারে যেটা বগুড়ায় নেই।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সব সম্ভব হয়েছে। তাকে শজিমেক থেকে প্রথমে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচ এ এবং সেখান থেকে ঢাকা সি সিএমএইচ এ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন