কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বুনছে সুখের স্বপ্ন, দেখছেন সফলতার মুখ

কুড়িগ্রাম জেলা ও চিলমারী প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী ভাঙন কবলিত একটি উপজেলা। চিলমারীতে নদী ভাঙন মানুষের জন্য গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে মাথা গোজার ঠাঁইসহ বসবাস ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে ফ্রেন্ডশিপের ট্রানজিশনাল ফান্ড প্রকল্প। প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে বিভিন্ন শাকসবজি বীজ, ভেড়া প্রদানসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাফল্য পরিবার হিসেবে গড়ে তুলছেন। ফলে ভাঙনের শিকার উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পরিবারের ফিরছে স্বচ্ছলতা, দেখছে তারা সফলতার মুখ। খুলেছে আয়ের পথ।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চরাঞ্চল মানুষের সফলতার জন্য কাজ করছেন ফ্রেন্ডশিপ। বিভিন্ন পরিবারে সফলতা, স্বচ্ছলতাসহ আইনি সহায়তাও দিয়ে আসছেন। উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের নাইয়ার চর ফ্রেন্ডশিপ গুচ্ছ গ্রাম।
এ গ্রামের প্রকল্পের আওতায় পরিবারগুলো ভেড়া পালন, সবজি চাষ ছাড়াও বস্তায় আদা চাষ করে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করছে। পরিবারে বিভিন্ন চাহিদাও মিটিয়ে আয়ও করছেন। ভাঙনের শিকার হয়ে দিশাহারা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে অর্থ প্রদানসহ বন্যা থেকে রক্ষায় গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছেন। এ গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করছেন ৩০টি পরিবার।
ফ্রেন্ডশিপ এর ট্রান্সজিশনাল ফান্ড প্রজেক্টের রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম মল্লিক জানান, ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গ এর সহায়তায় সদস্যদের আয় রোজগার নিয়মিতকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন এবং স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে কুড়িগ্রামের চিলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার ১৪টি চরে এ বছর ৪২০ জন সদস্যকে উক্ত প্রকল্প সহায়তা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুনচিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, উক্ত প্রকল্পের পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক উপকারভোগীদের পূর্বের ন্যায় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
চিলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাগরিকা কার্জ্জী জানান, উপজেলায় ফ্রেন্ডশিপের ট্রানজিশনাল ফান্ড প্রকল্পের মাধ্যমে এ বছর ২৪০টি পরিবারকে ভেড়া প্রদান করেছে এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফলে পরিবারগুলোর ভেড়া পালনের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে অধিক আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন