ভিডিও মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভিপিএন ব্যবহারে ঝুঁকি কতটুকু

ভিপিএন ব্যবহারে ঝুঁকি কতটুকু

করতোয়া ডেস্ক: ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এমন এক ধরনের নেটওয়ার্ক কাঠামো, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক দিয়ে ভার্চুয়াল টানেলের সাহায্যে অন্য এক বা একাধিক নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ মেলে।

ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। 
ইন্টারনেটের মতো উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে বিশ্বব্যাপী ভিপিএনের ব্যবহার আছে। ভিপিএন ব্যবহার করে সহজেই একটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কোনো ডিভাইসকে সংযুক্ত করা যায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে ইন্টারনেট সুবিধা প্রথমে বন্ধ ও পরে সীমিত করে দেয়ায় বিকল্প হিসেবে অনেকেই ভিপিএনের শরণাপন্ন হচ্ছেন।

ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ভিপিএন ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। ভিপিএন ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ভিপিএন ব্যবহারে খেয়াল রাখা দরকার এর অসুবিধা বা ঝুঁকি কতটুকু।
 

ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া
 
ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ অসুবিধা হলো ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। যেহেতু ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে; সেহেতু ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারী।
 

আরও পড়ুন

সাইবার নিরাপত্তা

ভিপিএনের প্রাথমিক কথাই হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ফলে কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে। সহজ ভাষায়, হ্যাকারের হাতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেলে হ্যাকিং অনেক সহজ হয়ে যায়।


জটিলতা ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ
 
একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
 
এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ‘ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।
 
খরচের বিষয়
 
অনেক ভিপিএন গ্রাহক সেবা বিনা মূল্যে বা কম খরচে ব্যবহার করা গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবাগুলোয় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চগতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে এ ক্ষেত্রে পয়সা গুনতে হয়।


সেবাদাতার ওপর নির্ভরতা
 
বিভিন্ন ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামি মহাসম্মেলন

এলপি গ্যাসের মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে সিদ্ধান্ত বিকেলে

কুষ্টিয়া শহরে নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

নাটোরের বড়াইগ্রামে ২ হাজার ৮৭০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার

খাদ্যে ভেজাল