নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে নতুন সরকার। দেশের সকল সেক্টরের মানুষেরাই নানা রকম আশা প্রত্যাশা নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছেন। চাইছেন নানা রকম সংস্কার। শোবিজের শিল্পীরাও বেশ কিছু দাবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন।
অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মনযোগ দেই দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের পক্ষ্য থেকে যে দাবীগুলো তোলা হয়েছে সেগুলোর দিকে-
* সকল শিল্পী ও কলাকুশলীর নিরাপত্তা এবং তাদের কাজে ফেরার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
* সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করতে হবে
* সম্পূর্ণ স্বাধীন ফিল্ম কমিশন গঠন করতে হবে
* সকল রকমের চলচ্চিত্রকে সেন্সরমুক্ত করতে হবে
* পূর্ণাঙ্গ সময় উপযোগী ও আধুনিক ফিল্ম ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে
* সমস্ত সিনেমা হল মেরামত করে প্রদর্শন উপযোগী করা এবং সকল সিনেমা হলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
এছাড়াও পরিচালক আফজাল হোসাইন মুন্না কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক যোগ করেছেন -
* প্রতিটা জেলায় নুন্যতম একটা করে মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করতে হবে
* ইটিকেটিং ও কেন্দ্রীয় সার্ভার স্থাপন করতে হবে
* কোনো শিল্পীকে তার সৃষ্টির জন্য প্রশাসন কোনো ধরনের হয়রানি করতে পারবে না। সৃষ্টি, চিন্তা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হলে, প্রমাণিত হলে, হস্তক্ষেপকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এই দাবির সঙ্গে অনেক শিল্পী-নির্মাতাই সংহতি জানিয়েছেন। পরিচালক খিজির হায়াত খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিএফডিসির একটি সংগঠনও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সাথে সক্রিয় ভাবে ছিলোনা। ১৯ সংগঠন নামক চাটুকার সংগঠনটি উল্টা চলচ্চিত্র লীগ নাম দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে ছিল। এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠনের কেউ পতদ্যাগ করেনি। বিএফডিসির সংস্কার হবেনা কেন?’
তার এই প্রশ্নের পক্ষে-বিপক্ষে নান মন্তব্য দেখা গেছে ফেসবুকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।