সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। বন্যার্ত এ অঞ্চলের জন্য মন পুড়ছে কিংবদন্তিসম এই শিল্পীর। উত্তরবঙ্গে সাহায্য পাঠানোর আহ্বান করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তিনি নিজেও বন্যার্তদের জন্য সহায়তা পাঠাবেন।
তিস্তার পানি যদিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করছেন বানভাসি মানুষ। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনসহ ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করলেন বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
ফেসবুকে কনকচাঁপা বন্যার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে লিখেছেন, ‘দয়া করে আসুন, এবার উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়াই।’ পোস্ট দিয়ে ভক্তদের প্রশংসাও পাচ্ছেন কনকচাঁপা। সেখানে এমডি জাহিন খান নামের এক অনুসারী মন্তব্য করেছেন, ‘ছাত্ররা এবার টিএসসিতে বসুক, উত্তরবঙ্গের নাম ধরে কিছু টাকা ব্যাংকে ভরার জন্য...’। প্রত্যুত্তরে কনকচাঁপা ওই অনুসারীকে লিখেছেন, ‘সবকিছুতেই এমন নেগেটিভ ভাবা ভালো না।’
যোগাযোগ করা হলে কনকচাঁপা জাগো নিউজকে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালাম। আমি নিজেও উত্তরবঙ্গের মানুষ। আমি জানি সেখানকার মানুষদের কত কষ্ট হবে। কাল মাসের শুরু, সবাই যদি ছোট ছোট করে সাহায্য পৌঁছে দেয়, তাহলে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা হবে। আমি আমার জায়গা থেকে সাহায্য করবো। সাবাইকে আহ্বান জানালাম।’
এদিকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমা ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে রোববার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী উপ-প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বাড়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া,হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ,কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ড ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।