ভিডিও শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধার সাঘাটায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কৃষি জমির ওপর ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কৃষি জমির ওপর ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ, ছবি : দৈনিক করতোয়া

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : জমি অধিগ্রহণ কিংবা ক্ষতিপূরণ না দিয়ে মালিকানাধীন কৃষি জমির ওপর জোরপূর্বক ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বলিয়ারবেড় বাঙালি নদীর ওপর পিসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে।

ফলে স্থানীয় আসাদুল নামের একজন কৃষকের ব্যক্তি ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তার জমির ক্ষতিপূরণের জন্য আদালতে মামলা দায়েরসহ প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঙালী নদীর ওপর ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

বিগত ২০২০ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির মাধ্যমে ব্রিজটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ঠিকাদার মইন উদ্দিন বাশি রাজ কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আলহাজ বাবু মিয়া ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।

এ ব্রিজটির একাংশ স্থানীয় আসাদুল ইসলাম নামে একজন কৃষকের কৃষি জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

আরও পড়ুন

কৃষক আসাদুল জানান, ব্রিজটি নির্মাণের সময় জমির ওপর ব্রিজের গার্ডার নির্মাণে বাধা প্রদান করি। এসময় কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ার এসে আমার জমির উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ^াস দিয়ে কাজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ঠিকাদার টালবাহনা করতে থাকলে আসাদুল আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এতে একটি মহল কৃষক আসাদুল এবং তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করার হুমকি দিতে থাকেন। আসাদুল ইসলাম ভয়ে আদালতের মামলা প্রত্যাহার করেন। এদিকে ঠিকাদার স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের মাধ্যমে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। আসাদুল জানান পরবর্তীতে আবারও আদালতে মামলা দায়ের করেছি, যা এখনও চলমান আছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারের প্রতিনিধি রাব্বী মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঠিকাদার দেশের বাইরে আছেন। এলজিইডির আওতায় ব্রিজের জন্য জমি অধিগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তবে জমির মালিক আসাদুলকে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তিনি অধিক টাকা দাবি করার কারণে বিষয়টি তার সাথে নিরসন হয়নি। তার হঠকারিতার কারণে ঠিকাদারের ৪০ লাখ টাকা লস হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের একমাত্র গার্ডার কৃষক আসাদুলের জমির ওপর পড়েছে। এজন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তার দাবি বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিরসন হয়নি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ?

যত দ্রুত নির্বাচন তত দ্রুত দেশ স্থিতিশীল হবে: খন্দকার মোশাররফ

ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

উত্তরের শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

না ফেরার দেশে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪