সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মগোপনে চলে যান মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বপন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন শিহিপুর দক্ষিণপাড়া (বটতলা) এলাকায়। এদিকে প্রেমিকের খুনের বিষয়টি জানার পর ওই প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম ঘটনার দু’দিন পর ঢাকার ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে স্বপন একই উপজেলার জোড়াগাছা ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামের টুকু মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর স্বপন দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে থাকায় সোনিয়া ও মুদি ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি স্বপন দেশে ফিরে এসে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দুলালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার সাখোয়াত হোসেন সাফাতের ছেলে প্রেমিক দুলাল মিয়া (৩২) খুন হন। এদিকে দুলালের খুনের ঘটনা শুনে স্বপনের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ঘটনার দু’দিন পর গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গতকাল শুক্রবার সোনাতলা উপজেলার নওদাবগায় সোনিয়ার মৃতদেহ দাফন করা হয়। বিষয়টি জানান, সোনিয়ার বাবা টুকু মিয়া। এদিকে ওই হত্যার পর নিহত দুলালের বাবা বাদি হয়ে স্বপনসহ আটজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও পুলিশ ওই হত্যাকান্ডের মূল আসামি স্বপনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা সোনিয়ার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুলাল হত্যাকারীকে পুলিশ গেপ্তার করতে মাঠে রয়েছে। যে কোন সময় পুলিশের জালে ধরা পড়বে হত্যাকারী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।