বগুড়ায় ব্যাংক চালান জালিয়াতি আইনজীবীর মহরারসহ দুইজন কারাগারে
কোর্ট রিপোর্টার : প্রতারণা ও জালিয়াতিমূলে ব্যাংক চালান সৃষ্টির অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দায়েরকৃত মামলায় আইনজীবীর মহরারসহ দুই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে হাজতি পরোয়ানামূলে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে করাগারে প্রেরণকৃত আসামিরা হলো-বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বনতেতুলিয়ার মৃত জবেদ আলীর ছেলে রেজাউল করিম ওরফে আজাদুল (আইনজীবীর মহরা) এবং আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে রশিদুল ইসলাম। ওই আসামিরা বগুড়ার অবকাশকালীন দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন সিনিয়র দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির জামিনের আবেদন শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, বিচারিক আদালত ব্যাংক চেক প্রত্যাখ্যানের মামলার বিচারের রায়ে আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের ফারুক শাহের স্ত্রী আসামি কাজলকে জেল জরিমানার আদেশ দেন। পরে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে পুলিশ গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আসামি কাজলকে কারাগারে প্রেরণ করেন। রায়কৃত চেকের মূল্য ২২ লাখ ১৭ হাজার ৯৬০ টাকা মধ্যে ৫০ ভাগ হিসেবে ১১ লাখ ৮ হাজার ৯৮০ টাকা ব্যাংক চালানমূলে জমা প্রদান করে ওই আসামি কাজলের পক্ষে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নিস্পত্তির জন্য বগুড়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে প্রেরিত হয়। ওই আদালত থেকে আপিল্যান্ট আসামি পক্ষে দাখিলি সোনালী ব্যাংকের ওই চালানটি যাচাই শেষে ও ব্যাংক কর্তৃক দাখিলি প্রতিবেদন জাল ও ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। এতে বগুড়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান হাবিবের নির্দেশে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সমেন মিত্র বগুড়া সদর থানায় এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। এই মামলায় ওই দুই আসামিসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলো-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল পানিহালি গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, আদমদীঘি উপজেলার অন্তাহারের মৃত আজি শাহর ছেলে ফারুক শাহ্।
আরও পড়ুনমামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এড. আব্দুল বছেদ এবং আসামি পক্ষে এড. লুৎফর রহমান (১)।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক
_medium_1765461260.jpg)
_medium_1765460496.jpg)
_medium_1765459913.jpg)
_medium_1765459005.jpg)


_medium_1765463460.jpg)
