ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ দুপুর

ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে রাজি না হলে ‘করার কিছু নেই’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারত রাজি না হলে বাংলাদেশের তেমন কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। র‍্যাব-ডিজিএফআই বিলুপ্ত করার জন্য জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিজিএফআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে আছে। এটা তারা বললেই তো হবে না।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা সেখানেই থাকবেন কি না- এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই তার নিজের। সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা কী করতে পারি বলেন? করণীয় তেমন কিছু নেই। ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে। রাজি না হলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা শুধু রাজি করানোর চেষ্টা করতে পারি- এর বেশি কিছু নয়।
এদিকে, ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের আলোচনা আছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু জানে কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরাও আপনাদের মতো শুনেছি। এটা আমার কিছু করার নেই। বাংলাদেশেরও কিছু করার নেই। আমরা চাই উনি ফেরত আসুক।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানেই তিনি অবস্থান করছেন। আন্দোলন দমনে হত্যাকা-সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদ- দেন। রায়ের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারত তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালেও নয়াদিল্লি এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। সর্বশেষ, প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে ঢাকা।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ৪০টি সুপারিশ দিয়েছিল। সেখানে র‍্যাব-ডিজিএফআই বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছিল। সেই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকার আমলে নেবে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ডিজিএফআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে আছে। এটা তারা বললেই তো হবে না। ৪০টি সুপারিশ দিয়েছে তারা, যেগুলো আমাদের এবং আমাদের পরের সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হবে, সেগুলো করবে তারা। তিনি বলেন, সবই যে করা যাবে, এমন কোনও কথা নেই।

আরও পড়ুন

র‍্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের কাজের বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। র‍্যাব তো প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটা প্রতিষ্ঠান ছিল, সেটাকে অনেক প্রতিষ্ঠানের মতোই গত ১৫ বছর ধ্বংস করা হয়েছে। যে কাজ তাদের দিয়ে করানো হয়েছে এটা তো তাদের কাজ না। এখন আমরা চাই, তারা যদি কাজ করে দেশের স্বার্থে, তাহলে তো আমার প্রতিষ্ঠান নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। নতুন করে কোনও নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আসলে আমার তো মনে হয় না এ ধরনের কোনও সম্ভাবনা আছে। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না কোনও অভিযোগ আসছে। কারণ র‍্যাবের কাজে স্পষ্টতই অনেক ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে, এটা সবাই স্বীকার করে। ১৫ বছর আগে র‍্যাব যা কাজ করছিল সেগুলো এখনৃ কমপ্লেইন থাকতে পারে কিছু। কিন্তু ডেফিনেটলি অনেক ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে। কিন্তু এই সরকারের প্রচেষ্টার কোনও অভাব নেই- কারও যেন মানবাধিকার এভাবে লঙ্ঘিত না হয়, যেন ভুল না হয়, সেখানে আমাদের কমিটমেন্ট শতভাগ প্রতিশ্রুতি আছে। শতভাগ কমিটমেন্টের পরেও হয়তো সবসময় শতভাগ ফলাফল পাওয়া যায় না, এটা হতে পারে। কিন্তু আপনারা বিরাট ইমপ্রুভমেন্ট সবাই লক্ষ্য করেছেন। আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটু প্রসেসের ব্যাপার আছে, প্রসেসে চলছে, দেখা যাক, আমরা কতটুকু এগুতে পারি। সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার ব্যাপারে আমার অবস্থানটা আপনারা খুব ভালো করেই জানেন। আমার এ ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারত হাসিনাকে ফেরত দিতে রাজি না হলে ‘করার কিছু নেই’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

ভেনেজুয়েলা উপকূলে বিশাল তেলবাহী ট্যাংকার আটক করল যুক্তরাষ্ট্র

গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধন আজ

শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত থেকে খোঁড়া হচ্ছে সুড়ঙ্গ