বগুড়ার সোনাতলায় আগাম মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলার হাটে-বাজারে আগাম জাতের প্রচুর মিষ্টিকুমড়ার সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি উপজেলার কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় প্রায় ১৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১২০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ বেশি করা হয়েছে। সবজি জাতীয় এই ফসল চাষে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। তাই প্রতিবছর এ ফসল চাষে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই উপজেলার কৃষকেরা হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি ব্ল্যাক সুগার ও ব্যাংকক জাতের মিষ্টিকুমড়া চাষ করেন বেশি। এই জাতের মিষ্টিকুমড়া প্রতি বিঘায় ৭শ’ থেকে ৯শ’ পিস পর্যন্ত উৎপাদন হয়। প্রতি পিস মিষ্টিকুমড়া আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। আবার কিছু কিছু এলাকায় কৃষক কেজি দরে বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে। আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন হাটে প্রচুর আগাম জাতের মিষ্টি কুমড়া কেনাবেচা করতে দেখা গেছে।
ঠাকুরপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম সোনা, সেকেন্দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, শামীমা আক্তার বলেন, এই এলাকায় প্রতিবছর কৃষক রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ করেন। ফলনও বেশ ভালো হয়। এমনকি ধান, মরিচ, আলু, ভুট্টার চেয়েও এটি একটি লাভজনক ফসল। এটি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, উপজেলার কৃষকেরা ১৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার চাষ করেছেন। এটি এঁটেল ও দো-আঁশ মাটিতে ভালো হয়। এটি একটি লাভজনক ফসল। প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মিষ্টিকুমড়া বিক্রি করা সম্ভব। এই ফসলে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। এই এলাকার কৃষক মূলত তিন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন বেশি।
মন্তব্য করুন







