যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় গণবিয়ে কর্মসূচির ঘোষণা আমিরাতের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার তরুণ প্রজন্মকে সহায়তা এবং সর্বস্বান্ত পরিবারগুলোর দায়িত্বভার লাঘব করতে সেখানে গণবিয়ে কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগামী ২ ডিসেম্বর আমিরাতের জাতীয় দিবসে হবে এই গণবিবাহ।
নতুন এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য ড্রেস অব জয়’ বা আনন্দের পোষাক। গতকাল ১৬ নভেম্বর এক আমিরাতের সরকারি বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “চলতি বছর জাতীয় দিবসে গাজায় গণবিবাহের আয়োজন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার। এই দিন গাজায় একসঙ্গে ৫৪টি বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিয়ের যাবতীয় ব্যয় এবং নবদম্পতিদের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারটি নির্বাহ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।”
গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে ‘আনন্দের পোশাক’ কর্মসূচির নিবন্ধন। তবে এ কর্মসূচির আওতায় যারা বিয়ে করতে আগ্রহী, তাদের ক্ষেত্রে কিছু অত্যাবশ্যকীয় শর্ত রেখেছে আমিরাত। এগুলো হলো-
ক) আগ্রহী পুরুষ এবং নারীকে অবশ্যই কমপক্ষে ২৭ বছর বয়স্ক এবং অবিবাহিত হতে হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে বিয়ের উপযুক্ত হতে হবে।
খ) আগ্রহী পুরুষ এবং নারীকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের নাগরিক এবং গাজার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
আরও পড়ুনগ) গাজার সরকারি কোনো দপ্তরের কর্মী এই কর্মসূচিতে প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দরিদ্র পরিবার কিংবা যুদ্ধে সর্বস্ব হারানো পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ঘ) যারা প্রার্থী হিসেবে আবেদন করবেন তাদেরকে অবশ্যই আমিরাত সরকারের পারিচালিত অপারেশন আল ফারিস আল শাম ৩ বা অপারেশন গ্যালান্ত নাইট ৩-এর নির্দেশনা মানতে হবে। গাজায় মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো এবং সেসবের বিতরণের জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বরে, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরুর এক মাস পর এই প্রকল্প শুরু করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ঙ) আবেদনের পর বাছাইকৃত প্রার্থীদের অবশ্যই এই গণবিয়ে উদ্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় দাপ্তরিক এবং মিডিয়া ডকুমেন্টেশন সংক্রান্ত কাজে উপস্থিত থাকতে হবে এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।
সূত্র : খালিজ টাইমস
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক








_medium_1763308737.jpg)
