ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল, কারফিউ জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের পুরোনো শহর হেবরনে কারফিউ জারির পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইহুদিদের ছুটির দিন উপলক্ষে এবং অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের একটি ধর্মীয় উৎসব পালনের লক্ষ্যে এমনটি করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মী ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য আরেফ জাবের আনাদোলুকে জানান, ইসরায়েলি সেনারা পুরোনো শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সব সামরিক চেকপয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারেননি এবং বাধ্য হয়ে আত্মীয়দের বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকালে শত শত অবৈধ বসতি স্থাপনকারী পুরোনো শহরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর কঠোর পাহারায় উসকানিমূলক শোভাযাত্রা করেছে। তার মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ ইসরায়েলের ইব্রাহিমি মসজিদের অবশিষ্ট অংশ দখল করে এটিকে সম্পূর্ণভাবে সিনাগগে রূপান্তরের প্রচেষ্টার অংশ। আর এজন্যই কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে ইব্রাহিমি মসজিদের সউক গেট বন্ধ করে রেখেছে এবং পূর্বদিকের গেটসহ জানালাগুলোও ঢেকে দিয়েছে। হেবরনের পুরোনো শহর পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে রক্ষায় প্রায় ১৫০০ ইসরায়েলি সেনা নিয়োজিত রয়েছে। ১৯৯৪ সালে এক বসতি স্থাপনকারী কর্তৃক ২৯ ফিলিস্তিনি হত্যার পর ইসরায়েল মসজিদটি ভাগ করে দেয়। এর ৬৩ শতাংশ অংশ ইহুদিদের জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ইহুদিদের জন্য নির্ধারিত অংশে আজান দেয়ার কক্ষটিও অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুনবর্তমান একতরফা ব্যবস্থায় ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বছরে ১০ দিন মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ইসলামি উৎসবগুলোতেও ১০ দিন ইহুদিদের জন্য বন্ধ থাকার কথা। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার ইসরায়েল বজায় রাখছে না।
মন্তব্য করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক









