বগুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে আবাসিক হোটেলের ‘দালাল’ গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (২৮) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশের একটি টিম শহরের সাতমাথায় সপ্তপদী মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। সে আবাসিক হোটেলের নারী ব্যসায়ীদের দালাল হিসাবেও পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বামী সন্তানসহ ঘর সংসার করা অবস্থায় এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে আসামি ইলিয়াস হোসেনের পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে ইলিয়াস তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগসহ প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্ক চলতে থাকে।
এ অবস্থায় ইলিয়াস ওই নারীকে তার স্বামী তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য ফুসলাইতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই নারী স্বামীকে তালাক দিয়ে ৬-৭ ভরি সোনার গহনা ও ১০-১২ লাখ টাকা নিয়ে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। এরপর ইলিয়াস ভালোবাসার সূত্র ধরে ওই নারীকে ভুল বুঝিয়ে ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নারীকে কিছু দিনের জন্য বগুড়ায় নিয়ে আসে এবং শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠে।
উল্লেখ্য,ধৃত ইলিয়াস বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের নারী ব্যবসায়ীদের দালাল।
এ কারণে সে ওই নারীকে ভাড়া বাসায় রেখে হোটেলে অবস্থান করে এবং মাঝে মধ্যে জোরপূর্বক তার সাথে মেলামেশা করে। কিন্তু ওই নারী তাকে বিয়ের কথা বললে সে টালবাহানা করতে থাকে। সেইসাথে তার টাকা ও সোনার গহনা ধীরে ধীরে হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে ফেলে। এ অবস্থায় গত ২৬ অক্টোবর ইলিয়াস নিশিন্দারা উত্তরপাড়ায় ভাড়া বাসায় এসে তাকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, ইলিয়াস তাকে আবাসিক হোটেলের খদ্দেরদের সাথে মেলামেশা করতে বলে।
এতে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে চরমভাবে মারপিট করে ইলিয়াস। মারপিটে তার গলায় বাম পাশে, পেটে, পিঠে, হাতে গুরুতরভাবে জখম হয়। এ সময় ওই নারী কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে বাড়ীর মালিকের স্ত্রীসহ আশেপাশে লোকজন এগিয়ে এলে ইলিয়াস দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় গত ৫ নভেম্বর ওই নারী সদর থানায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার আসামি হিসাবে পুলিশ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক






_medium_1762502479.jpg)

_medium_1762508102.jpg)
