বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর খোকন হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকায় চাঞ্চল্যকর হাবিবুর রহমান খোকন হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আটজনকে অজ্ঞাতনামা করে মোট ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নিহত হাবিবুর রহমান খোকনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান বাসির এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মালতীনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে হাবিবুর রহমান খোকন একজন রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী এবং বগুড়া শহর যুবদলের ১১নং ওয়ার্ডের একজন সক্রিয় সদস্য ছিল। শহরের সেউজগাড়ী এলাকায় জনৈক পাভেলকে কিছু দুস্কৃতকারী মারপিটে আহত করলে তার স্বামী খোকন বন্ধু বাধনকে সাথে নিয়ে গত সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে পাভেলকে দেখতে সেউজগাড়ী পালপাড়া এলাকায় আনন্দ আশ্রমের পাশে জনৈক আব্দুস সাত্তারের বাড়ির সামনে যান।
এসময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের একটি দল তাদের হাতে ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, চাকু, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে তারা রামদা ও হাসুয়া দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তার মাথা, হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে খোকন রক্তাক্ত জখম হয়ে মাাটিতে পড়ে যায়।
আরও পড়ুনপরে হামলাকারীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মেডিকেল কলেজ থেকে খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বলেন, খোকন হত্যাকাণ্ডে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন










