ভিডিও রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৯ রাত

মধ্য কার্তিকের বৃষ্টিতে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

মধ্য কার্তিকের বৃষ্টিতে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। ছবি : দৈনিক করতোয়া

করতোয়া ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব ও নিম্নচাপের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানাবৃষ্টিতে রোপাআমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। বিশেষ করে গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার (১ নভেম্বর) রাতের ঝুম বৃষ্টির পাশাপাশি ঝরো বাতাসে কৃষকের জমির পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে হেলে পড়েছে। সবজির জমিগুলোতে পানি জমায় ফসলের বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানান-
বগুড়া: টানাবৃষ্টিতে রোপাআমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বগুড়ার কৃষকরা। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝরো বাতাসে কৃষকের জমির পাকা ও আধাপাকা ধান পানিতে হেলে পড়েছে। গত বুধবার থেকে আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বগুড়ায় ১২৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এতে বগুড়া সদরসহ আশেপাশের উপজেলার অনেক জমির রোপাআমন ধান ঝরো বাতাসে নুয়ে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। আরও ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে-আগাম আলুসহ অন্যান্য শাকসবজি ক্ষেতের। এই অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে থাকতে বলা হয়েছে। কৃষকরা জানান, বৃষ্টি ও ঝরো বাতাসের কারণে অনেক স্থানে পাকা ও আধাপাকা ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে।

এতে পাকা আমন ধান নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। জমির পাকা ধান এবং জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। এছাড়া অতিবৃষ্টিতে শীতের আগাম সবজি ক্ষেতে জমেছে পানি। ফসল বাঁচাতে নিজেদের মত করে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন তারা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায়  ১ লাখ  ৮৩ হাজার  ৪৯৫ হেক্টর জমিতে রোপাআমন ধান রোপণ করা হয়েছে। আর আগাম আলু রোপণ করা হয়েছে ৩৫৫ হেক্টর জমিতে। সূত্র জানায়, রোপাআমন ধানের জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য সব উ-পসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জরুরি পরামর্শ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। আর আবহাওয়া ভালো হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে জমির পানিতে নুয়ে পড়া ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে হেলে পড়া ধান গান গুলো ঝুঁটি বেঁধে দিলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।

এদিকে বগুড়ার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গত চার দিনে বগুড়ায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ দশকি ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রোববার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে বলেও জানা গেছে।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানান- 
নন্দীগ্রাম (বগুড়া): গত দু’দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় নন্দীগ্রাম উপজেলায় শত শত কৃষক পড়েছেন মারাত্মক ক্ষতির মুখে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হলে শাকসবজি, মরিচ এবং আগাম জাতের আমন ধানের আবাদে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে পানি জমে গেছে এবং বাতাসে ধান গাছ ভেঙে পড়ে পানির ওপর ভাসছে। বাতাসে এসব এলাকার ধান গাছ হেলে পড়াসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেতেও পানি জমে আছে। কৃষকরা নিজ উদ্যোগে মেশিন চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন।

ধুনট (বগুড়া): ধুনট উপজেলায় পাকা রোপাআমন ধান নুয়ে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য। কৃষকরা বলছেন, পাকা আমন ধান ঘরে তোলার এখনই মোক্ষম সময়। এই মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দুইদিন রোদ না হলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ছামিদুল ইসলাম জানান, রোপাআমন ধানের জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য সব উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে জরুরি পরামর্শ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। আর আবহাওয়া ভালো হলে দুই/তিনদিনের মধ্যে জমির পানিতে নুয়ে পড়া ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

আদমদীঘি (বগুড়া): উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমির উঠতি আমন ধানগাছ পানির নিচে রয়েছে। পাকা, আধাপাকা ধানের শীষ পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ২/৩ দিনের মধ্যে জমির পানি সরিয়ে না গেলে পানির নিচের থাকা ধানের শীষ পচন ধরে নষ্ট হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। ফলে উপজেলায় রোপাআমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শেরপুর (বগুড়া): এ উপজেলায় টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বিশেষ করে গতকাল শুক্রবার রাতে চার ঘণ্টার ভারি বৃষ্টিতে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ভুট্টা, ধান, আলুসহ শীতকালীন রবি শস্যের ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চরমক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। টানা বৃষ্টিতে এমন অপ্রত্যাশিত ক্ষতি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা চরম হতাশায় ভুগছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে শেরপুর উপজেলা মোট ২২ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধু শেরপুর উপজেলাতেই ২৫০ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে। নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট এই টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।

সোনাতলা (বগুড়া): সোনাতলায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবারের দিবাগত রাতভর প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে পাকা ও আধাপাকা ধান বৃষ্টির পানির মধ্যে নুয়ে পড়েছে। এতে করে শত শত একর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আগাম জাতের মরিচ, আলু ও মাষকলাই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ওই এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

কালাই (জয়পুরহাট): জয়পুরহাটে টানা তিনদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। নিচু এলাকায় পানিতে ডুবে গেছে পাকাধান ও আগাম সবজির ক্ষেত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৭০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান এবং ২ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।

নওগাঁ : জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েদিনের বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি জমে। যেসব জমিতে আগাম আলু বপণ করা হয়েছে, সেসব জমিতে পানি জমায় বপণ করা আলুর বীজ পঁচে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এছাড়াও রোপাআমন ধান ও আগাম শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আমন ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আলু আবাদের জন্য কোথাও কোথাও প্রস্তুত করা হয়েছিল জমি, কোথায় সদ্য রোপণ করা হয়েছে বীজ।

বৃষ্টিতে জমিতেই জমেছে পানি। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা। শুধু আলু ক্ষেত নয়, আগাম জাতের শীতকালী ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, মূলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যেসব ক্ষেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বত্র আগম পাকা ধান ও বজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাড়াশ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। কৃষি বিভাগ ক্ষতি পরিমাণ নির্ধারণ করছে। এরমধ্যে তাড়াশ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমির ব্রি ৯০-৭৫ বিনা ১৭ এবং কাটারী ধানের ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার (১ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার সর্বত্র ভারি বর্ষণে প্রাথমিক জরিপ করা হয়। এতে জেলায়  প্রাথমিক আক্রান্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে রোপা আমন ২৩৬ হেক্টর, মাষকলাই ৩৫ হেক্টর, শাক সবজি ৭৪ হেক্টর, মরিচ ৮ হেক্টর, সরিষা ৩৮ হেক্টর, খেসারি ১৩ হেক্টর, আলু ২ হেক্টর এবং পেঁয়াজ ১ হেক্টর।  জমিতে জমে থাকা  পানি স্থায়ী হলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসময় প্রবল বর্ষণে ধান-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতির কারণে বিরূপ প্রভাব পরতে শুরু করেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত  ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ। সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতব্যাপী।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, তাদের কাছে ২০০৩ সাল থেকে জেলার বৃষ্টিপাতের নিয়মিত হালনাগাদ করা যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তাতে  বিগত ২৩ বছরে একদিনে এই পরিমাণ বৃষ্টির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে এই বৃষ্টিতে জেলায় পাকতে শুরু করা রোপাআমন, আলু, সরিষা, শাকসবজি, পেঁয়াজ, মাষকলাইসহ অনান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ এবং কৃষকরা।

সাঘাটা (গাইবান্ধা): এ উপজেলায় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ আসা দমকা হাওয়ায় জমিতে পাকা ধান পড়ে গেছে মাটিতে। এতে ফলন বিপর্যায়ের শঙ্কায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রায় রাতভর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক কৃষকের জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় কাটার আগেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ভালো ফলনের আশা ছিল, কিন্তু হঠাৎ দমকা হাওয়া সব নষ্ট করে দিয়েছে।

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): এ উপজেলায় টানা তিনদিনের বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপাআমন ধান। আধা পাকা এসব ধান মাটিতে নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এছাড়াও আগাম আলু এবং রবি শস্যর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক’দিন বাদেই যে ফসল ঘরে উঠতো তা নিয়ে এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৮ হেক্টর জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এছাড়াও আগাম বোপণকৃত ৫ হেক্টর আলু এবং ৬ হেক্টর শাকসব্জির ক্ষতি হয়েছে। সুত্রটি আরও জানায়, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই আবোহাওয়া থাকতে পারে তাই  ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।

গঙ্গাচড়া (রংপুর): গঙ্গাচড়ায় টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টিতে রোপা আমন ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। ফলন ঘরে তোলার আগমুহূর্তে আধাপাকা ধান নুয়ে পড়ায় চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, হলুদ হয়ে আসা ধানের ক্ষেতগুলো বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে। এতে ফলন ও ধানের গুণগত মান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেংমারী এলাকার কৃষক ইউনুস আলী বলেন, আমরা বছরের পর বছর পরিশ্রম করে ফসল রোপণ করি। এবার যখন ধান কাটা সময় এসেছে, তখনই এমন বৃষ্টি সব ধান নুয়ে দিয়েছে। জমিতে পানি জমে শীষ ভিজে যাচ্ছে, ফলন অর্ধেকও না হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবি শিক্ষককে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে মশাল মিছিল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মদসহ অন্যান্য পণ্য জব্দ

সংশয়ের কিছু নেই ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন : ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসী স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

বিএনপি চরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সর্বোচ্চ কাজ করবে : সাবেক এমপি কাজী রফিক