টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে চরাঞ্চলবাসীদের
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে টিসিবি’র পণ্য নির্দিষ্ট স্থানে বিক্রী না করায় ভোগান্তিতে পড়ছে চরাঞ্চলের মানুষদের। ফলে পণ্য ক্রয় করতে তাদের যাতায়াত বাবদ গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
জানা গেছে, উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পণ্য নিদিষ্ট কিছু স্থানে বিক্রি করার নির্দেশনা থাকলেও ডিলাররা এ নিয়ম উপেক্ষা করে অন্যস্থানে বিক্রি করে থাকে। চিলমারী ইউনিয়নের টিসিবি’র পণ্য দুটি স্থানে বিক্রি করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড় এলাকায় বিক্রি করে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদে বিক্রি করা হয় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থান নির্ধারণে সুবিধাভোগীদের কথা চিন্তা করা হয়নি। এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নই ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। অথচ এসব পণ্য বিতরণের স্থান গুলো রাখা হয়েছে উপজেলা সদরেই। এতে করে ডিলাররা সদরে বসে এসব টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করছেন।
অন্য দিকে চরের বাসিন্দাদের বাড়তি টাকা খরচা করে চর থেকে আসতে হচ্ছে। এরমধ্যে খেয়া নৌকা পার হয়ে ও অটোরিকশা যোগে আসতে হচ্ছে সদরে। এতে যাতায়াত ভাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করার পর ক্ষুধা নিবারণের জন্য টাকা খরচ করে কিছু না কিছু খেতে হয়। ফলে টিসিবি’র পণ্য নিতে এসে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাদের।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির স্থান নির্ধারিত থাকলেও তা চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। চিলমারী ইউনিয়নের ডিলার সাওম ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারীর মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনচিলমারী ইউনিয়নের মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, চিলমারী ইউনিয়নের টিসিবি’র পন্য আগে কড়াই বরিশাল ঘাটে এসে বিক্রি করা হতো, তারপর কিছু দিন জোরগাছ বাজারে আর এখন থানাহাট ইউনিয়নের কলেজে মোড়ে বিক্রি করা হয়। এখানে চরাঞ্চলের মানুষের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নের পণ্য ইউনিয়নে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু এখন চরের মানুষদের নৌকা ভাড়া করে থানাহাট গিয়ে নিতে হচ্ছে। এতে তাদের যাতায়াত খরচ বেশি পড়ছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ডিলার বসে কোন স্থানে বিতরণ করলে সুবিধা হয় সেই স্থানে বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন










